× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা /সাবেক এমপি রানার জামিন স্থগিত

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। আগামী ৩১শে মার্চ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে দুটি মামলায় তার জামিন স্থগিত হলো। জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। আদালতে আমানুর রহমান খান রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ড. মো. বশির উল্লাহ। গত ১৪ই মার্চ মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় তাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
ওইদিন চেম্বার জজ আদালত মো. নুরুজ্জামান দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন চার সপ্তাহ স্থগিত করেন। ফলে কারামুক্তি আটকে যায় আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এ সংসদ সদস্যের। ২০১৭ সালের ১৩ই এপ্রিল ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন রানা। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে তা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই বছরের ১৯শে অক্টোবর আপিল বিভাগ জামিনের এ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্টকে। পরে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে নতুন করে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন রানা। বিচারিক আদালতে গত বছরের ৫ই সেপ্টেম্বর ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় এবং ৩০শে সেপ্টেম্বর দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর গত ৬ই মার্চ দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ও ১৪ই মার্চ ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান রানা। এখন দুটি মামলাতেই জামিন স্থগিত হলো চেম্বার জজ আদালতে।
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালের ১৮ই জানুয়ারি তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত। ২০১৭ সালের ৩রা  ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ওই বছর ৬ই সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।॥
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর