× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যবসার নামে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের ধরতে নামছে দুদক

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

বিদেশে মালামাল আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য বেশি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগ অনেকদিনের। এই অর্থপাচারের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ অনেকে জড়িত বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে রাজস্ব বোর্ডের কাছে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। আর তথ্য পাওয়া মাত্রই অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশনে’ নামবে দুদক।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় মালামাল আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থপাচারসহ রাজস্ব ফাঁকির মতো অপরাধ করেন। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ নানা সময়ে উঠলেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর।

দুদক আরো জানায়, আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কিংবা বিক্রেতা থেকে মালামালের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ইনভয়েসে বেশি মূল্য দেখিয়ে এলসির মাধ্যমে অর্থপাচার করে। অন্যদিকে রপ্তানির ক্ষেত্রেও একইভাবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী  কালো টাকা সাদা করে থাকে। এসব অনিয়মের অভিযোগ পেলেও দীর্ঘদিন ধরে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কোনো সংস্থা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে রাজস্ব বোর্ড বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। এমনকি একাধিক ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করেছে এনবিআর। দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগের সত্যতা মেলার পর ওইসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের বিষয়ে বিস্তারিত তালিকা চেয়ে চলতি বছরের ৭ই মার্চ পুনরায় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠায় দুদক। সংস্থাটির সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্‌ত স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, আমদানি পণ্য বন্দরে আসার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মালামাল খালাসের আগে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন চালানের পণ্য যাচাই করে। যাতে কি পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছে তার পরিমাণসহ বিল অব এন্ট্রি, ইনভয়েস যাচাই করে ‘মিসডিক্লিয়ারেশন বা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদ্‌ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা (যেমন আমদানিকারকের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির জন্য জরিমানা, মামলা দায়ের, লাইসেন্স বাতিল) নেয়া হয়। একই ভাবে রপ্তানির ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্টরা। চিঠিতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির ঘটনায় রাজস্ব বোর্ড ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব ঘটনায় জানুয়ারি মাসের তথ্যাদি চেয়েছিল দুদক। কিন্তু রাজস্ব বোর্ড এখনো তা পাঠায়নি।

এদিকে গত ১১ই মার্চ দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে রাজস্ব বোর্ডের কাছে জড়িতদের তালিকা চাওয়ার বিষয়টিও জানিয়েছেন তিনি। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ অর্থ পাচার হয় ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে। এনবিআরের কাছে ওভার ইনভয়েসিংয়ের তালিকা চেয়েছি আমরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা আজ পর্যন্ত এই তালিকা পাইনি।  তালিকা পেলে প্রয়োজনে তালিকা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর