× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সালমার দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

কিছুদিন আগেই সানাউল্লাহ নূরী সাগরকে বিয়ে করেন সংগীতশিল্পী ও ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মৌসুমী আক্তার সালমা। সবই ঠিকঠাক যাচ্ছিল তাদের। এর মধ্যেই সাংসারিক জীবন নিয়ে নতুন খবরের শিরোনাম হলেন সালমা। তার স্বামী সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করলেন সাবেক স্ত্রী’র মা। নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাগরের বাবা সাখাওয়াত হোসেন এবং মা সুরাইয়াকেও। কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলা দায়ের করেছেন সাগরের প্রথম স্ত্রী পুষ্মীর মা দিলারা খানম। মামলা নম্বর ২৫৪। এরই মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
এমনকি গ্রেপ্তারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় পরোয়ানা পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ.এইচ.এম মাহমুদুর রহমান। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩রা জুন সানাউল্লাহ নূরী সাগরের সঙ্গে দিলারা খানমের  মেয়ে তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মী)’র ২০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মী)কে বিয়ের পর থেকে বিভিন্নভাবে যৌতুকের জন্য সাগর চাপ দিতে এবং শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন।

পুষ্মীর মা দিলারা খানম তিন কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। সে টাকা দিয়ে সানাউল্লাহ নূরী সাগর লন্ডনে বার-অ্যাট-ল’ পড়ার জন্য ভর্তি হন। এজাহারে আরো উল্লেখ রয়েছে, সাগর দেশে এসে কাউকে না জানিয়ে ক্লোজআপ তারকা সালমাকে গোপনে বিয়ে এবং নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন। কিন্তু মিডিয়ার বদৌলতে এ খবর জানাজানি হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ১৫ই জুন জন্মগ্রহণ করা সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগরের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মীর) বাবা কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যাপক এম আখতার আলম। তিনি কুতুবদিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। মা দিলারা খানমও একজন স্কুল শিক্ষিকা।

এসব বিষয়ে সালমার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, সাগর সম্পর্কে জেনেশুনেই বিয়ে করেছি আমি। তার আগে একটা সংসার ছিল সেটা আমি জানি। এক বছর আগেই ওই মহিলাকে ডিভোর্স দিয়েছে সাগর। যার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে তাকে কীভাবে স্বামী বলে দাবি করেন তিনি? ডিভোর্সের এক বছর পর মনে হলো নির্যাতনের কথা, মামলার কথা? এখানে অন্য উদ্দেশ্য আছে। সাগরের বর্তমান স্ত্রী আমি একজন পরিচিতি মানুষ। এখন সাগরকে নিয়ে কথা বললে আলোচনায় আসা যাবে। মিডিয়ার কভারেজ পাওয়া যাবে। একজন তারকার বিয়ে-সংসার নিয়ে মুখরোচক কিছু তথ্য পাওয়া গেলে সেটা লুফে নেয় সবাই। আমার ইমেজে আঘাত করে ওই নারী ও তার পরিবার পরিকল্পিত কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় হয়তো। সালমা বলেন, তাই তারা আমার স্বামীর নামে এই হয়রানিমূলক মামলাটি দিয়েছে। আর মামলাটিও করেছে যখন সাগর আর আমার বিয়ের কথা পাকা হলো। ডিভোর্সের আগে নারী নির্যাতনের মামলা কোথায় ছিল?
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর