× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘অনেকে স্বাধীনতার অর্জন নষ্ট করার সুযোগ খুঁজছে’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
২৬ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

১৬ই ডিসেম্বর সকাল নয়টা কি দশটার দিকের ঘটনা। ঢাকার শাহবাগ মোড়ে পাকিস্তানিদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ছোট্ট দলের গোলাগুলি হয় সে সময়। সেই দলে আমার সঙ্গে আরো দুজন ছিলেন। সেখানে আমাদের একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে বাঁচাতে পারি নি। সেই দিনের কথা আমি কখনোই ভুলতে পারি না। আমাকে সব সময় তা শিহরিত করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কথাগুলো বললেন অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু।
কিশোর বয়সেই তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন বলে জানান। ১৯৭১ সালে ভারতের বিহারের চাকুলিয়ায় ট্রেনিং নেন এই অভিনেতা। তার কমান্ডার ছিলেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। তিনি আরো বলেন, আমি তখন ঢাকা কলেজে পড়ি। আমার বয়স ছিল ১৫ কি ১৬। ট্রেনিং শেষে আমি এপ্রিলের দিকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।

আজ ২৬শে মার্চ। মহান স্বাধীনতা দিবস। এই সময়ে বাংলাদেশকে কিভাবে দেখছেন? তিনি বলেন, আমরা একটি স্বাধীন দেশে বাস করছি এটি আমাদের জন্য বড় পাওয়া। এই স্বাধীন দেশেও অনেকে স্বাধীনতার অর্জন নষ্ট করার সুযোগ খুঁজছে। তাদের সেই সুযোগটি দেওয়া যাবে না। দেশ আমাদের এগিয়ে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি আরো উন্নত হবে আমাদের এই দেশ। এই মুক্তিযোদ্ধা তার একটি পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের বাইরে আমাদের দেশে আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে আছেন। কিন্তু তাদের নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। অথচ তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমাদের এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। তিনি তাদেরকে নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলের জন্য ‘আমার মাটি আমার দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠান নির্মাণ করবেন।

খুব শিগগির এই অনুষ্ঠানের শুটিং শুরু করবেন জানান দিলু। এই অভিনেতা এখন অভিনয় থেকে দূরে আছেন। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিমান থেকেই অভিনয় করছি না। এই সময়ে যেভাবে কাজ করা হয় সেটি আমাদের সঙ্গে যায় না। তোষামোধ করে শিল্পীদের কাজ করতে নেই। এছাড়া সিনিয়র শিল্পীদের কিভাবে সম্মান করতে হয় সেটিও বর্তমানে অনেকে জানে না। এভাবে তো আমাদের কাজ করা যায় না। একটা সময় নিয়মিত অভিনয় করেছি। শিল্পী-নির্মাতা সকলের মধ্যেই একের প্রতি অন্যের সম্মান-শ্রদ্ধাবোধ ছিল। এটি ক্রমইে হারিয়ে যাচ্ছে।  সর্বশেষ কবে অভিনয় করেছেন? তিনি বলেন, এক বছর আগে অভিনয় করেছি।

কিন্তু কোন নাটকে অভিনয় করেছি তা মনে নেই। তবে অভিনয়কে কি বিদায় জানাবেন? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, না। এখন অভিনয় করছি না, এটি সত্যি। তবে ভালো কোনো গল্প-চরিত্র পেলে অভিনয় করবো। আমি এরইমধ্যে একটি ধারাবাহিক নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখেছি। এটি নিজেই পরিচালনা করবো। আগামী অক্টোবরের দিকে নাটকটি নির্মাণ করার ইচ্ছে আছে। আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রে দালাল, ভন্ড ও ষড়যন্ত্রকারীরা সব সময় থাকে। তাদের মৃত্যু হয় না। একেক সময় তারা একেকটি রুপ ধারণ করে। আমার নাটকের প্রতিপাদ্য তাদের নিয়ে। বিভিন্ন মজার ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদেরকে দর্শকের সামনে তুলে ধরবো। টিভি নাটকের আগে থেকেই এই অভিনেতা অভিনয় করছেন। মঞ্চ থেকে তার অভিনয় শুরু। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত শিল্পীর তালিকায় নাম লেখান তিনি। ১৯৭৬ সাল থেকে টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় করছেন। নতুন শিল্পীদের নিয়েও এই অভিনেতা কথা বলেন। তার ভাষ্য, আমরা যেভাবে অভিনয়কে আঁকড়ে ধরেছি সেটি এখনকার শিল্পীদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায় না। শিল্পীরা কাদামাটির মতো হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর