× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে এবারও মোদী ওয়েভ চলছে, দাবি অমিত শাহর

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

২০১৪ সালের মতো এবারও ভারতজুড়ে মোদী ওয়েভ চলছে।  এই দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।  ফলে কংগ্রেসকে আরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশের মানুষের মুডই বলে দিচ্ছে মোদী এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। শাহ বলেছেন, এই সরকারের কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা ছিল। আমার বিশ্বাস, সেই সব প্রত্যাশা সরকার পূরণ করতে পেরেছে। অনেক ক্ষেত্রে তা  প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। জি নিউজ আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া কা ডিএনএ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের সাফল্য নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। কেন দেশজুড়ে মোদী ওয়েভ চলছে এবং কেনই বা কংগ্রেসকে আরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত মত জানিয়েছেন। অবশ্য শুরুতেই বিজেপি সভাপতি বলেছেন, প্রতিটি নির্বাচনই বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ।

তাই দলীয় কর্মীরা কোনও নির্বাচনকেই হাল্কাভাবে নেয় না।
শাহর মতে, মোদীর সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতার জন্যই গোটা বিশ্বের নেতারা ভারতের  দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তার মতে, মোদী জি নিজে সমস্ত কাজের তদারকি করেন। আর তাই প্রত্যাশার চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজ হয়েছে। শাহর দাবি, গত ৫ বছরে ভারতীয় পাসপোর্টের মান বেড়ে গিয়েছে। এ বছরের নির্বাচেনের উপর আলোকপাত করে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী নিশ্চিতভাবেই জয়ী হবেন। এ ব্যাপারে তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। অমিত শাহ মনে করেছেন, গতবারের  চেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে মোদী এবারের নির্বাচনে জয়ী হবেন। কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলতে গিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, আরও ৫ বছর কংগ্রেসকে ক্ষমতার বাইরে থাকতে হবে। আর এবার তো খোদ আমেথিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর  জয়লাভ খুবই কঠিন হবে।

  বিজেপি এই কেন্দ্রে রাহুলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানীকে প্রার্থী করেছে। গতবারও এই কেন্দ্রে স্মৃতি ইরানীই প্রার্থী হয়েছিলেন, কিন্তু জয়ী হতে পারেন নি। তবে কংগ্রেস ও বিজেপির পার্থক্য সম্পর্কে অমিত শাহ বলেছেন, কংগ্রেস স্লোগান দেয়, আর বিজেপি কাজ করে দেখায়। মোদী সরকার কি পরিবর্তন এনেছে সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, আগে ভোটব্যাঙ্ক কিছু নেতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে গণ্য করা হতো। কিন্তু এখন ভোটারা স্বাধীনভাবে ভাবতে পারছেন এবং সেইমত ভোট দিচ্ছেন। বিজেপির কাছে নির্বাচনী এজেন্ডা হল দেশের সুরক্ষা। দেশের মানুষ এই সুরক্ষার ভিত্তিতেই ভোট দেবেন বলে মনে করেন অমিত শাহ।  জনগণ দেশে সুরক্ষা  নিয়েই সবচেয়ে বেশি ভাবেন। তাই নির্বাচনের প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত দেশের সুরক্ষার বিষয়টি। জনগণ এই সুরক্ষাকে বিবেচনায় এনেই ভোট দেওয়া উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন।

পুলওয়ামা জঙ্গী হামলা সম্পর্কে তিনি  বলেছেন, এটির সময়  সরকার নির্ধারণ করেনি। পাক সমর্থিত জঙ্গীরাই এই হামলা চালিয়েছে। নির্বাচন সামনে বলে আমদের পাল্টা আঘাত হানা থেকে বিরত থাকা উচিত হতো? বরং আমরা জঙ্গী হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়েছি। নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, মোদী খুবই কড়া ধাঁচের মানুষ এবং তড়িৎ গতিতে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা তার রয়েছে। অমিত শাহর মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পর ভারতই তৃতীয় দেশ যে তাদের সেনার উপর হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর