× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিমবঙ্গে সব বুথে ভোটগ্রহণ হবে সশস্ত্র বাহিনীর পাহারায়

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ৯, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:১১ অপরাহ্ন

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের সব কটি বুথে সশস্ত্র বাহিনীর পাহারায় ভোট নেয়া হবে। সোমবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই ভোটের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা প্রশিক্ষণ বয়কট করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। তাদের দাবি ছিল, তাদের প্রহরা দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। শেষপর্যন্ত কমিশনের তরফে সব বুথে সশস্ত্র বাহিনী থাকার কথা জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের দিন ভোটকর্মীদের নিরাপত্তাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।  তবে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা নিয়ে এদিনও কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন।  তবে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করবে কমিশন।

ভোটকর্মীরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা না পেলে ভোটকেন্দ্রে তাদের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভোটকর্মীদের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে মৃত্যু হয়েছিল শিক্ষক রাজকুমার রায়ের। অভিযোগ, তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া ভোট নয় বলে তারা দাবি তুলেছিলেন। এদিকে সোমবার জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভরত ভোটকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণে যোগ দিতে অনুরোধ করেন তিনি। জেলাশাসক শিল্পা গৌরিসারিয়া জানিয়েছেন, ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধ্যমতো চেষ্টা চলছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গে ২ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণে নামানো হবে ১০৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা ওই ২ কেন্দ্রের বুথের সংখ্যার প্রায় ৩ গুণ।

ফলে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে সমস্যা হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। বহু জায়গাতেই রিটানিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কমিশনে এ সংক্রান্ত বহু অভিযোগও জমা পড়েছে বলে জানা গেছে । দুই দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে চার আইপিএস পুলিশ কর্তাকে নির্বাচনের কাজ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর