সোনাগাজীতে নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মালায় গ্রেপ্তার নুসরাতের সহপাঠী ও কিলিং মিশনের ৫ জনের একজন কামরুন নাহার মনির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) গোলাম জিলানি জানান, বুধবার দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ হাকিম (সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) সরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে তোলা হয় কামরুন নাহার মনিকে। এ সময় পিবিআই কর্মকর্তা আসামি মনির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এদিকে অপর আসামি মোহাম্মদ শামীমের গতকাল রিমান্ড শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত তার রিমান্ড শুনানি হয়নি। পুলিশ গত মঙ্গলবার তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
অপরদিকে নুসরাত হত্যা মামলায় মোহাম্মদ শরিফ নামে এক আসামিকে ঢাকার কামরাঙ্গীচর থেকে আটক করা হয়েছে বলে পিবিআই এর একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ফেনী পিবিআইয়ের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি। শরিফসহ এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকালে ফেনী ও সোনাগাজীতে একাধিক সংগঠন মানববন্ধন করেছে। সকালে ফেনী শহরের শান্তি নিকেতন এলাকায় সিটি গালস্‌ হাইস্কুল, সেন্ট্রাল পাবলিক হাইস্কুল, শান্তি নিকেতন প্রি-ক্যাডেট ইনস্টিটিউটসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান মানববন্ধন করেছে। এছাড়া আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে জেলার আইনজীবীরা। মানববন্ধন থেকে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্ত্তির দাবি করা হয়েছে। সকালে সোনাগাজীতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
গত ৬ই এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথম পত্র দিতে গেলে মাদরাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর ১০ই এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ই এপ্রিল বিকালে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ই এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।