× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মেসি: পরিপক্ব এক ফুটবল প্রতিভা

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার

এক ধরনের ফুটবল দেখতে দেখতে ক্লান্ত, বিরক্ত। হৃদয় ছুঁয়ে যায় কিংবা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, এমন কিছুর দেখা মিলছে না। নেই নতুনত্ব। আচ্ছা, মাঠে কি লিওনেল মেসি আছেন? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তবে অপেক্ষা করুন। একটু ধৈর্য ধরুন। এই আর্জেন্টাইন জিনিয়াস এমন কিছু করে দেখাবেন যাতে বিস্ময়-আনন্দ দুটোই খুঁজে পাবেন।
মঙ্গলবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩১ বছর বয়সী মেসির তেমনি একটি চোখ জুড়ানো পারফরম্যান্স দেখা গেল। দুটি গোল করলেন। বার্সেলোনা ৩-০ ব্যবধানে জিতে তিন বছর পর উঠলো চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ চারে।
ম্যানইউর বিপক্ষে কেউ কেউ মেসিকে ১০-এ ৯.৯ রেটিং দিয়েছেন। পারফরম্যান্স বিচারে সেটি ঠিকই আছে। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিট মেসির চোখ চষে বেড়িয়েছে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা। নিজের জন্য যথাযথ পজিশন খুঁজছিলেন। সেটি নির্দিষ্ট নয়। এরপর যখন যেখানে সুবিধা করা যায় সেখানেই উপস্থিত মেসি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে প্রথম গোলটি করলেন বা পায়ের বাঁকানো এক শটে। এর আগে অবশ্য ফ্রেডকে নাটমেগ করেন। নিজের কারিকুরি দেখানোর জন্য নয়। শট নেয়ার জন্য একটু জায়গা প্রয়োজন ছিল তাই। মেসির দ্বিতীয় গোলটি অবশ্য ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার ভুলে হয়েছে। ম্যাচের ২০ মিনিটের ভেতর দুই গোল পেয়ে যাওয়া মেসি চাইলে হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন। কিন্তু হ্যাটট্রিকের জন্য তেমন কোনো চেষ্টা করতে দেখা গেল না তাকে। একবার ডি-বক্সের ভেতর সুবিধাজনক অবস্থানে বল পেয়েও সতীর্থ ফিলিপ কুতিনহোকে পাস দিয়ে দেন। চাইলে শট নিতে পারতেন। এমনকি নিচে নেমে মিডফিল্ডারদের সঙ্গে বিল্ড-আপ করেও খেলতে দেখা গেছে মেসিকে। বার্সার হয়ে কুতিনহোর করা তৃতীয় গোলটি বিশ্লেষণ করলে সেটিই প্রমাণ হয়। জর্ডি আলবার উদ্দেশ্যে লম্বা পাস বাড়ান মেসি। এরপর আলবার কাছ থেকে বল পেয়ে ২৫ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন কুতিনহো। গোলের জন্য এখন আর প্রতিপক্ষের সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় না মেসিকে। ১৬ বছর আগে প্রকাশিত প্রতিভা এখন এমনই ‘পরিপক্ব’ অবস্থায় পৌঁছেছে।
মেসির এই পরিপক্বতা কিন্তু একদিনে আসেনি। ক্যারিয়ারের শুরুতে বার্সেলোনার রাইট উইঙ্গার হিসেবে খেলতেন। মেসিকে আরও জায়গা করে দিতে ২০০৯-১০ সালের দিকে বার্সেলোনার তৎকালীন কোচ পেপ গার্দিওলা একটা ঝুঁকি নিলেন। প্রজন্মের অন্যতম সেরা দুই সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল ইতো ও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে বেচে দিলেন। মেসিকে নিয়ে আসলেন আক্রমণভাগের মাঝে। তবে পিওর স্ট্রাইকার নয়, ‘ফলস নাইন’ হিসেবে। এরপর দলের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পজিশনে খেলেছেন মেসি।
২০০৭ সালে লা লিগায় গেতাফের বিপক্ষে রাইট উইং থেকে পাঁচজনকে কাটিয়ে গোল করেন মেসি। ২০০৯ সালে ম্যানইউর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ‘ফলস নাইন’ পজিশনে থেকে হেডে গোল। ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিতে সাবেক গুরু গার্দিওলার দল বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে গোলটিও উল্লেখ করা যায়। জেরোম বোয়েটাংকে ‘নাটমেগ’ করে বিশ্বসেরা গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যায়ারকে বোকা বানিয়ে আলতো চিপে গোলটি করেছিলেন মেসি। এমন অনেক উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করা যাবে যে কোনো পজিশনেই সফল তিনি। এমন আরো অনেক উদাহরণ টেনে বলা যাবে, মেসি মানেই নতুন চমক, বিস্ময়ের ভাণ্ডার।
(নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ ররি স্মিথের লেখা অবলম্বনে)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর