× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাফ কথা / সিরাজের হেরেমখানা

ষোলো আনা

শামীমুল হক
১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার

বিশ্বাস, অবিশ্বাসের দোলাচলে পৃথিবী। ভালো, মন্দের মিশেল সমাজ। প্রেম, ভালোবাসা যেন খেলার বস্তু। আর স্বার্থ! সে তো পথ দেখিয়ে এগিয়ে নেয় সবাইকে। লোভ, লালসা বাসা বেঁধেছে অন্তরে অন্তরে। হিংসা আর পরনিন্দা যেন মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। বিবেক আর বুদ্ধি ব্যয় হচ্ছে কুকাজে। রক্তের বন্ধন ছিন্ন হওয়া আজ ঠুনকো বিষয়।
আসলে অর্থই সব অনর্থের মূল। বিদ্যা আর বুদ্ধিও হার মানছে এই অর্থের কাছে। সমাজপতি হওয়ার মাপকাঠিও মাপা হচ্ছে অর্থ দিয়ে। অন্যায়, অপরাধ সবই গিলে খাচ্ছে এই অর্থ। এই অর্থই বদলে দেয় সমাজের গতি। বদলে দেয় পথ। বিপথে পরিচালিত হয় সমাজ। ব্যতিক্রম কি নেই? আছে। অনেক আছে। তবে তারা সংখ্যালঘু। তারা রাজপথে দাঁড়িয়ে শুধু চিৎকার করার ক্ষমতাই রাখে। গলা ভাঙে। রাগে ক্ষোভে ফুঁসে। সেটাও চার দেয়ালের ভেতরে। এ পর্যন্তই তাদের ক্ষমতা। এসব কারণে সমাজে বাসা বাঁধছে অপরাধ। অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে চলে। আকাম করে। ওরা যে সংখ্যাগুরু। ওরা ডাক দিলেই হাজারো জনতা জড়ো হয়। ওদের পক্ষে কথা বলে।

ওদের একজন আলোচিত সিরাজ উদ দৌলা। মাদরাসাকে বানিয়েছিল হেরেমখানা। রঙ্গশালা। রুচিও ছিল বিকৃত। সিরাজ তার বিকৃত রুচির সফল বাস্তবায়ন করতো অবলীলায়। কারণ ওপর মহল তার হাতের মুঠোয়। কি পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসন। কি জনপ্রতিনিধি। তার ছিল চেলা-চামুণ্ডাও। সব মিলিয়ে সিরাজ গড়ে তুলেছিলেন তার রাজত্ব। কিছু নামধারী সাংবাদিকও জুটিয়ে নিয়েছিল তার দলে। ষোলোকলা পূর্ণ করেছিল তার নিরাপত্তার। কিন্তু নুসরাত জাহান রাফি তার রাজত্বে টর্নেডো হয়ে আসে। যে টর্নেডো তছনছ করে দিয়েছে তার দম্ভ। অহংকার। গোটা জীবনের অন্ধকার দিককে টেনে এনেছে সামনে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর