সেনবাগ উপজেলার মধ্যম মোহাম্মদপুরে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করলো ৬৫ বছরের বৃদ্ধ আবুল বসর। গত বুধবার রাত ১১টায় থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা জহির উদ্দিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯ ধারায় মামলা নং১৪ (তারিখ ১৭.৪.১৯ ইং) সেনবাগ থানায় মামলা করেছেন। এর আগে রাত ১০টায় খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ, থানার ওসি তদন্ত আবদুল আলী পাটোয়ারী, এসআই সাইফুল ইসলামসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযুক্ত আবুল বসরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
রাত ১২টায় ওসি তদন্ত আবদুল আলী পাটোয়ারী ধর্ষণ ও শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপরাধীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শিশুটির মা জানান, ১৫ই এপ্রিল বিকাল ৫টায় মেয়েটি তার সহপাঠীদের নিয়ে খেলছিল। এ সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবুল বসর ২০ টাকার বিস্কিট কিনে দেয়ার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে তার বসতঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শাসিয়ে দেয়। ১৬ই এপ্রিল বিকালে শিশুটির সহপাঠীরা আগের দিন বিকালে বৃদ্ধের সঙ্গে কি ঘটেছে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনাটি ফাঁস হয়। ১৭ই এপ্রিল বিকালে শিশুটির অসহায় পিতা জহির কন্যার সঙ্গে আবুল বসরের বিকৃত যৌনাচার ও ধর্ষণের বিচার চেয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে সালিশ বৈঠক ডাকে। এতে পাড়ার লোকজন জড়ো হলেও অভিযুক্ত আবুল বসর বৈঠকে না আসায় রাত পৌনে ১০টায় বিষয়টি থানায় জানান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাবার আগেই বৃদ্ধ আবুল বসর পালিয়ে যায়। মামলার আইও সেনবাগ থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, অসুস্থ ভিকটিমকে পুলিশ পাহারায় নোয়াখালী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৬ই এপ্রিল সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউপির বসন্তপুরে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী ফাতেমাকে সিএনজিচালক রাজন একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় ধর্ষক রাজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। ফেনীর রাফি ও সেনবাগের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী ফাতেমার ধর্ষণকারীর ফাঁসির দাবিতে পৌর শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।