× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিদ্যুৎ সংযোগ না নিয়েও বকেয়া বিলের মামলায় কারাগারে মতিন, তদন্ত কমিটি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়েও বকেয়া বিলের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা দিনমজুর আবদুল মতিন মিয়া অবশেষে জামিন লাভ করেছেন। গতকাল বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) কর্তৃক কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। রাত ৭টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্লাস্ট কুমিল্লার শাখার প্রকল্প কর্মকর্তা এড. মো. সানা উল্লাহ। এদিকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য গতকাল দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জানা যায়, জেলার মুরাদনগরের মোচাগড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বিদ্যুৎহীন ২৫৬টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য গত চার বছর আগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কাছে আবেদন করে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় মৃত আবুল কাশেম ওরফে অহিদ আলীর ছেলে আবদুল মতিন ওই বিদ্যুৎ অফিসের দালাল আবুল কালাম আজাদ, আবুল বাশার প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে মিটার প্রতি ১০/১৫ হাজার টাকা আদায় করে। ওই সময় আব্দুল মতিন মিয়ার নামেও কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগের ফাইল অনুমোদন করে। কিন্তু আব্দুল মতিন মিয়া দালাল চক্রদের ৪ হাজার টাকা দিলেও বাকি টাকা দিতে না পারায় বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে আব্দুল মতিন মিয়ার ছবি পাল্টিয়ে একই এলাকার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে সফিকুল ইসলামের ছবি যুক্ত করে দেয়। বিগত ২০১৫ সালের ২২শে মার্চ আব্দুল মতিন মিয়ার নামীয় মিটারটি একই গ্রামের সফিকুল ইসলামের ঘরে সংযোগ প্রদান করলে সে ১৭ মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখে। ১৭ মাসের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল চার হাজার সাত টাকা আদায়ের জন্য কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনা অফিসের এজিএম লক্ষণ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গত মঙ্গলবার রাতে এসআই কবির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আব্দুল মতিন মিয়াকে আটক করে মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসে। গত বুধবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। ব্লাস্ট কুমিল্লা শাখার প্রকল্প কর্মকর্তা এড. মো. সানা উল্লাহ জানান,  বিষয়টি জেনে আমরা আদালতে তার জামিনের আবেদন করি। গতকাল বিকালে কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সোহেল রানা নিরপরাধ আবদুল মতিনের জামিন মঞ্জুর করেন। ৭টার দিতে তাকে তাকে কারাগার থেকে ব্লাস্ট কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তাকে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী আমেনা খাতুন কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমরা খুব গরিব। টাকা দিয়েও আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাইনি। তারপরও বকেয়া বিলের মামলায় আমার স্বামীকে জেলে যেতে হয়েছে। আমি দায়ীদের বিচার চাই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর