’৭১-এর গণহত্যার বিভৎসতার চিত্র আরেক দফা দেখলেন বিদেশী কূটনীতিকরা। ঢাকায় প্রদর্শিত ছবিগুলো তারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন এবং সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বহিতে লিখে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নব প্রতিষ্ঠিত ‘জেনোসাইড কর্ণার’-এর উদ্বোধনীতে বৃহস্পতিবার অংশ নিয়েছিলেন ভিন দেশী কূটনীতিকরা। পড়ন্ত বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এমপি এর উদ্বোধন করেন। জেনোসাইড কর্ণারে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘঠিত গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রাক্তন মন্ত্রীসহ দেশী-বিদেশী শতাধিক কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষ্যে অভিন্ন ভেন্যুতে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা-কূটনৈতিককে সন্মাননা জানানো হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- সাবেক কূটনীতিক আমজাদুল হক, রাষ্ট্রদূত আনেয়ারুল করিম চৌধুরী এবং প্রায়ত কূটনীতিক হোসেন আলী।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, একাত্তরে সাহসী বাঙ্গালী কূটনীতিকরা কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, বাগদাদ, মানিলা, কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন জায়গায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে গিয়েছিলেন। মন্ত্রী জানান ৩ জন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা-কূটনীতিককে সম্মাননা জানিয়ে তাদের অবদানের বিষয়টি স্মরণ করা হলো। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা ওই কঠিন সময়ে চাকরির মোহ ত্যাগ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তারা বংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করছিলেন। তাদের প্রত্যেককে সম্মাননা জানানো হবে। উল্লেখ্য, একাত্তরের ১৮ই এপ্রিল প্রথম কলকাতা মিশনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে দেশের পক্ষে বিদ্রোহ হয়। সেই দিনটিকে ‘ফরেন সার্ভিস ডে’ হিসাবে এখন থেকে নিয়মিতভাবে পালনের ঘোষণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ২৫ শে মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়েও তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।