কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বটতলা নামক স্থানে এক গৃহবধূকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পারিবারিক কলহের জের ধরে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাশ উদ্ধার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। থানা ও একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিগত দুই বছর আগে চরফকিরা ইউনিয়নের ফখরুল ইসলাম সবুজের মেয়ে শারমিন আক্তার রিতুর (২১) সঙ্গে একই ইউনিয়নের আবুল কালাম কালুর ছেলে প্রবাসী মোশারেফ হোসেন বাহাদুরের (৩০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রিতুর দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন কারণে কলহ দেখা দেয়। এরই মধ্যে স্বামী বিদেশ চলে যায়। পর্যায়ক্রমে রিতুর ওপর শ্বশুর শাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নির্যাতন বাড়তে থাকে। গত ২২ দিন আগে স্বামী বাহাদুর বিদেশ থেকে বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পর থেকে নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
একপর্যায়ে গৃহবধূ রিতু বাপের বাড়িতে চলে যান। গত ১০ দিন আগে গৃহবধূর রিতুর পরিবার তাকে আবার স্বামীর বাড়িতে দিয়ে আসে। গতকাল দুপুরে পরিবারের কয়েক সদস্য মিলে রিতুকে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এর ফাঁকে স্বামী পালিয়ে যায়। রিতুর শ্বশুর আবুল কালাম কালু (৫৮) ও তার শাশুড়ি আরাধনিকে (৪৮) জনতা আটক করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, জনতা মৃতের শ্বশুর শাশুড়িকে ধরে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীতে পাঠিয়েছি। তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেব।