× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ানীবাজারে ধানকাটার শ্রমিক সংকট

বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার

 ‘এখন-উ ধান কাটার মানুষ পাওয়া যার না, সপ্তাহদিন বাদে কিতা অইবো। গেছেবারও ৭০০ টাকায় রোজ কামলা ধইরা ধান কাটাইছি। ইবার কিতা করতাম?’ এভাবেই মুড়িয়া হাওরের ফসলি জমি থেকে ধানকাটার শ্রমিক সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন  বিয়ানীবাজার উপজেলার ছোটদেশ গ্রামের কৃষক সিদ্দেক মিয়া। শুধু সিদ্দেক মিয়া নন হাওর এলাকার বেশির ভাগ কৃষকই ধানকাটার শ্রমিক সংকটের কথা বলেছেন। একই গ্রামের হোসেন আলী বলেন, ‘আগে চৈত মাসো দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোজকামলা লোকজন হাওর এলাকায় আইতো। গেছে কয়েকবছর থেকে ইতা মানুষ আর পাওয়া যার না। এখন আতো-পায়ো ধরিয়া মানুষ আনিয়া ধান কাটানি লাগের।’ শ্রীধরা গ্রামের কৃষক আবদুস সামাদ বলেন, ‘হাওরে ব্যাপক বজ্রপাত ধান কাটার শ্রমিক সংকটের অন্যতম কারণ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বালুমহালে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে, এজন্য হাওরে ধান কাটার লোকের অভাব হয়।’ তিলপাড়ার সদরপুরের কৃষক আবদুুর রহমান বলেন, ‘এখন মাত্র ধানকাটা শুরু অইছে।
সপ্তাহখানেক পরে পুরোপুরি ধানকাটা শুরু অইবো। তখন গিরস্থের অবস্থা কিতা অইবো?’
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি শিব্বির আহমদ বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় ধানকাটার শ্রমিক সংকট সৃষ্টি হয়। কৃষক চড়াদাম দিয়ে  রোজের কামলার মাধ্যমে জমির ধান কাটান। এ অবস্থা দূর করতে হলে প্রতিটি গ্রামের ধানকাটার মেশিন দেয়া প্রয়োজন।’ বিয়ানীবাজার উপজেলায় দেশের অন্যতম বৃহৎ মুড়িয়া হাওর অবস্থিত। এছাড়াও লাসাইতলা হাওর, শ্রীধরা হাওর, জলগৌড়ি হাওরসহ অন্তত ২৪টি হাওর রয়েছে। এসব হাওরের মোট ৬ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আবাদকৃত জমিগুলোতে এখন কাঁচা আধাপাকা ও পাকা ধান রয়েছে। আর কয়েকদিন পর উপজেলার সবক’টি হাওরে বোরো ধান কাটে ঘরে তোলার মৌসুম শুরু হবে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে এখনও অনেক কৃষক দিশাহারা। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান বলেন, বোরো মৌসুমে সব হাওরে একযোগে ধান কাটা শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। কৃষিবিভাগ অন্যান্য সময়ের মতো এবারও কিছু এলাকায় ধানকাটার মেশিনের ব্যবস্থা করেছে। তবে এ সংকট সরকারের একার পক্ষে দূর করা সম্ভব নয়। এজন্য এলাকার ধনী কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ভালো মানের ধান কাটার মেশিন কিনতে পারেন। এতে তারা নিজেরা যেমন উপকৃত হবে পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি কৃষকরাও উপকৃত হবেন।




অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর