× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিলেছে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২০, ২০১৯, শনিবার, ৯:০২ পূর্বাহ্ন

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার অযাচিত হস্তক্ষেপের প্রমাণ পেয়েছেন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার। যা দিয়ে খুব সহজেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভোগান্তিতে ফেলতে পারতেন। কিন্তু মুয়েলার তা এড়িয়ে গেছেন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করার মাধ্যমে সুবিধা পেতে চেয়েছিল রাশিয়া। এই উদ্দেশ্যে রুশ গোয়েন্দারা বিভিন্নভাবে তৎপরতাও চালিয়েছেন। রাশিয়া কানেকশন নিয়ে ২৩ মাসের দীর্ঘ তদন্ত শেষে সম্প্রতি রিপোর্ট জমা দেন রবার্ট মুয়েলার। বৃহস্পতিবার ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত  করতে কাজ করেছে রাশিয়ার গোয়েন্দারা। হিলারিকে পরাজিত করে লাভবান হতে চেয়েছিল  মস্কো। উইকিলিক্সে হিলারি ও ডেমোক্রেটিক পার্টির ইমেইল ফাঁসেও রুশ সংযোগ পেয়েছেন মুয়েলার।
মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডনাল্ড ট্রামপকে জেতাতে মস্কো প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে আশঙ্কা করছিল সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়। ২০১৭ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুয়েলার। গত মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি। বৃহস্পতিবার প্রায় সাড়ে চার শ’ পৃষ্ঠার মুয়েলার-প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে এ সমপর্কে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক সমপর্ক তৈরি, প্রচারণায় সহায়তার প্রস্তাব, পুতিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ট্রামপকে আমন্ত্রণ জানানো, রুশ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ট্রামেপর প্রচারণা দলের বৈঠক, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কোন্নয়নে নীতিগত আলাপের প্রচেষ্টা ছিল। উইকিলিকস কর্তৃক হিলারি ক্লিনটন ও ডেমোক্রেটিক পার্টির ইমেইল ফাঁসেও রাশিয়ার সংযোগ পেয়েছেন মুয়েলার। প্রতিবেদনের দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ট্রামেপর জড়িত থাকা না থাকার বিষয়টি। মুয়েলার বলেছেন, তদন্তকারীদের সামনে এমন কিছু কঠিন পরিস্থিতি ছিল যার ফলে সত্যিই বলা মুশকিল যে প্রেসিডেন্ট ট্রামপ রুশ হস্তক্ষেপ বিষয়ে তদন্তে বাধা দিয়েছিলেন কি না। কংগ্রেস চাইলে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর