× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পোশাকের কারণে ভয় ইরানি বক্সারের

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার

সাদাফ খাদেম। বয়স ২৪। গত শনিবার পশ্চিম ফ্রান্সের রয়ো শহরে অ্যামেচার বক্সিং ম্যাচে ফরাসি তারকা অ্যান শঁভিকে হারান তিনি। ইরানের প্রথম নারী বক্সার হিসেবে কোনো অফিসিয়াল ম্যাচে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়েন সাদাফ। প্রত্যাশা ছিল দেশে ফিরলে ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত হবেন। কিন্তু ঘটনা উল্টো। গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে প্যারিস বিমানবন্দর থেকেই ফিরে গেলেন সাদাফ খাদেম ও তার কোচ। গণমাধ্যমের কাছে সাদাফ অভিযোগ করেন, ইরানের ড্রেস কোড ভঙ্গ করে বক্সিং ম্যাচে অংশ নেয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
ম্যাচ খেলার সময় তার পরনে ছিল হাতাকাটা গেঞ্জি ও শর্টস। কিন্তু ইরানের বক্সিং ফেডারেশনের প্রধান হোসেন সুরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সাদাফ (ইরান) বক্সিং ফেডারেশনের সদস্য নন। যে কারণে বক্সিং বিষয়ে যেকোনো কার্যক্রম সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’ অপরদিকে, ইরানিয়ান দূতাবাসের একজন মুখপাত্রের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে চায় গণমাধ্যম রয়টার্স। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি।  
নারীদের পর্দা করার ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন কঠোরভাবে মেনে চলে ইরান। ইরানের আইন অনুযায়ী, ৯ বছর ঊর্ধ্ব মেয়েদের হিজাব পরে বাইরে বেরোনো বাধ্যতামূলক। আইন না মানলে ১০ দিন থেকে দুই মাসের জেল কিংবা আর্থিক জরিমানা দিতে হতে পারে। এমনকি খেলার মাঠেও পর্দা করতে হয় ইরানিয়ান নারী ক্রীড়াবিদদের। তাদের চুল, ঘাড়, বাহু ও পা সম্পূর্ণ রূপে ঢেকে খেলতে হয়। ফ্রান্সে হাতকাটা সবুজ শার্ট, লাল শর্টস ও সাদা কোমরবন্ধনী পরে (ইরানের জাতীয় পতাকার রং) বক্সিং রিংয়ে নামেন সাদাফ খাদেম।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লেকিপ’কে সাদাফ খাদেম বলেন, ‘ফ্রান্সে বৈধ অফিসিয়াল ম্যাচে লড়াই করেছি। আমি যে শর্টস ও টি-শার্ট পরে খেলেছি, সেটা বিশ্বের সব দেশের নজরেই স্বাভাবিক। আর আমার দেশের নজরে অস্বাভাবিক। আমি আমার দেশের আইনে বিস্মিত। আমি হিজাব পরে খেলিনি, আমার কোচ একজন পুরুষ। এটাই কি আমার অপরাধ?’
সাদাফের কোচ ইরানী বংশোদ্ভূত ফরাসি মাহিয়ার মনশিপুর। সাবেক লাইটওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন তিনি। সাদাফের সঙ্গে তেহরানের বিমানে চড়ার কথা ছিল মাহিয়ানেরও। মাহিয়ানের দাবি, তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সাদাফ ভেবেছিল এই অর্জনে দেশে ফিরে বড় সম্মান পাবে। অথচ এখন আমাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।’
ইরানের ড্রেস কোডের কারণে এর আগে কোনো অফিসিয়াল ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি সাদাফ। ইরানের চাপের মুখে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে আন্তর্জাতিক বক্সিং এসোসিয়েশন (এআইবিএ) ও অ্যামেচার বক্সিং গভর্নিং বডি আইন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর