× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জয় নিয়ে কক্ষপথে রূপগঞ্জ-আবাহনী /বল হাতে উজ্জ্বল তাসকিন-সাইফুদ্দিন

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার

সহজ জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) শিরোপা রেসে একধাপ এগুলো লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ-আবাহনী লিমিটেড। গতকাল শাহরিয়ার নাফিসের হার না মানা সেঞ্চুরিতে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৭ উইকেটে হারায় রূপগঞ্জ। বল হাতে রূপগঞ্জের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। অপরদিকে, প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে আবাহনী জেতে ৬ উইকেটে। আবাহনীর হয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১৪ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ডিপিএলের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ স্থান ধরে রাখলো রূপগঞ্জ। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী।
সাভার বিকেএসপি মাঠে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম দোলেশ্বর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওপেনার সাইফ হাসান (৩৭) ও ওয়ান-ডাউনে নামা সৈকত আলী (৭২) ছাড়া আর কেউ সুবিধা করে ওঠতে পারেননি।
তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ শহীদের বোলিং তোপে ৪৫ ওভারে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় দোলেশ্বর। ৯ ওভারে ৫৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তাসকিন। চলতি মৌসুমে ডিপিএলে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচে ৩৬ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেই সেরাটা দেখালেন তাসকিন। তার সঙ্গী শহীদ ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শূন্য রানে মোহাম্মদ নাঈমকে হারায় রূপগঞ্জ। তবে মেহেদী মারুফের (৪১) সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস।  আসিফ (১৭) আহমেদের সঙ্গে ৫০ রানের আরেকটি জুটি গড়েন জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া নাফিস।  আসিফ আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে (৩২*) নিয়ে ৩৪ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন নাফিস।  ১৪২ বলে ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।
মিরপুরে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করেন পেসাররা। মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাইফুদ্দিন আর সৌম্য সরকার মিলে প্রাইম ব্যাংকের ৯ উইকেট তুলে নেন। ৯.১ ওভার বোলিং করে এক মেডেনসহ ৩১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া সাইফুদ্দিন। মাশরাফি ও সৌম্য সরকার প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। অপর উইকেটটি যায় মেহেদী হাসান মিরাজের পকেটে। ৪৯.৩ ওভারে ২২৬ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। এর মধ্যে অলক কাপালির অবদান ৮০। আয়ারল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা নাঈম হাসান ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন।
২২৯ রানের লক্ষ্য ৩২ বল হাতে রেখে টপকে যায় আবাহনী। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বিশ্বকাপ দলে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনও ২৪ বলে ৩৩ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু আবারো ব্যর্থ সৌম্য সরকার। শূন্য রানে ফেরেন তিনি। সাব্বির রহমানও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ২৬ রান করে আউট হন সাব্বির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রূপগঞ্জ-দোলেশ্বর
দোলেশ্বর: ৪৫ ওভারে ২০৫ (সাইফ হাসান ৩৭, সৈকত আলী ৭২, তাইবুর রহমান ২৭, মাহমুদুল হাসান ২৫*; মোহাম্মদ শহীদ ৩/৩৫, তাসকিন আহমেদ ৪/৫৪, ঋষি ধাওয়ান ২/৩২)
রূপগঞ্জ: ৪৪.২ ওভারে ২০৮/৩ (মেহেদী মারুফ ৪১, শাহরিয়ার নাফিস ১১৩, নাঈম ইসলাম ৩২*)  
ফল: রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: শাহরিয়ার নাফিস
আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক
প্রাইম ব্যাংক: ৪৯.৩ ওভারে ২২৬ (অলক কাপালি ৮০, মনির হোসেন ১৯, নাঈম হাসান ৫১*; সাইফুদ্দিন ৫/৩২, মাশরাফি ২/৫০, সৌম্য ২/৪২)
আবাহনী: ৪৪.৪ ওভারে ২২৮/৪ (জহুরুল ইসলাম ২৪, সাব্বির রহমান ২৬, ওয়াসিম জাফর ৬৪, শান্ত ৭৭*, মিঠুন ৩৩*; নাঈম ২/৪৯)
ফল: আবাহনী ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাইফুদ্দিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর