× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাইবার ক্রাইম থেকে বাঁচার উপায় তিনটি

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার

সচেতনতা, আইনের প্রয়োগ এবং সংস্কৃতি পরিবর্তনের মাধ্যমেই সাইবার ক্রাইম থেকে বাঁচা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টারর্স ইউনিটি-ডিআরইউ এর সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সাইবার অপরাধ ও সহিংস উগ্রবাদ বিষয়ক সাংবাদিকতা ফেলোশিপ-২০১৯’ এর পুরস্কার প্রদান ও আলোচনাসভায় বিশেষজ্ঞরা এ মন্তব্য করেন। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা একেএম নজরুল হায়দার বলেন, ১৯৬৯ সালে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের মধ্যে ডাটা শেয়ারের জন্য প্রথম ইন্টারনেট তৈরী হয়। তবে মাত্র অর্ধ শতকের মধ্যে এটি এখন বিশ্বব্যাপী সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এর কারণ হল সাইবার ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে যে কোন দেশে ভার্চুয়ালি ভ্রমণ করা যায়। কোনো সীমারেখার বাঁধা নেই এখানে। যেটা শারীরিকভাবে ভ্রমণে বা বিচরণে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এখানে সবাই মুক্তভাবে সব জায়গায় ভ্রমণ করতে পারে ঠিকই কিন্তু এই সাইবারে যদি কেউ আনপ্রটেকটেডভাবে চলাফেরা করে তাহলে তার জন্য খুবই বিপদ।
তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অতিরিক্ত ইন্টারনেট বা ফেসবুক আসক্তিকে একটি রোগ হিসেবে আবিষ্কার করেছেন। তাদের মানুষিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা যায় বলেও জানান তিনি। নজরুল হায়দার বলেন, সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষার উপায়কে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত আমাদের অ্যাওয়ারনেস করতে হবে। সবাই সবার আশপাশের মানুষকে সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এতে অনেক কাজে হবে। এর পরও যদি কাজ না হয়, অপরাধীরা অপরাধ করতেই থাকে তাহলে তার ব্যবহারের পরিবর্তন আনার জন্য আইনের প্রয়োগ করতে হবে। সর্বশেষ কাজ হল সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। তবে এটি অনেক বড় একটি কাজ। দেশের সরকারকে এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, এখন সাইবার ক্রাইম বেড়ে যাচ্ছে। বেড়ে গেছে। এখান থেকে বাচার জন্য চিন্তা কি ওই বাচ্চারা বা কিশোররা করবে? নাকি আমরা করব? এটা ভাবার সময় এসেছে। কারণ কিশোররা তো যেটাতে আনন্দ পাবে তারা সেটা প্রতিনিয়ত করবে এটাই স্বাভাবিক। মীর মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সাইবার ক্রাইম বর্তমান সময়ে খুবই বিপদজনক একটি অপরাধ হয়ে দাড়িয়েছে। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সচেতনতামূলক কাজ করছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। আর এমন একটি মহৎ কাজে সহযোগিতা করার জন্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ। তবে শুধু সচেতন করলেই চলবে না। এই অপরাধ দমনের জন্য উপযুক্ত আইন দরকার। একই সঙ্গে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা দরকার অথবা শিশুরা যেন ইন্টারনেটের খারাপ দিকে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য কিছু একটা করা দরকার। এছাড়া, সাইবার ক্রাইমের বিপদ থেকে বাচার পক্ষে সাংবাদিকরা পত্র পত্রিকায় প্রচুর পরিমাণে লিখবেন তাহলে মানুষ অনেক সচেতন হবে।  
অনুষ্ঠানের সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা একেএম নজরুল হায়দারের সভাপতিত্ব ও সভাপতি কাজী মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি(ডিআরইউ) এর সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন কো-অর্ডিনেটর শাহানা হুদা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চারজন সম্মানিত ফেলোকে ফেলোশিপ সনদ, সম্মাননা স্মারক ও সম্মানি হিসেবে ব্যাংক চেক প্রদান করা হয়।  ‘সামাজিক মাধ্যম: আপনি নিজে গুজব ছড়াচ্ছেন না তো?’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য বিবিসি বাংলার সাংবাদিক ফয়সাল মো. তিতুমীর, ‘প্রতি সেকেন্ডে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে হাজারো মানুষ’ প্রতিবেদনের জন্য নিউজ২৪ এর সাংবাদিক শিউল আহমেদ, ‘আইনের আশ্রয় নিতে অনিহার কারণে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম’ এর জন্য এনটিভির সাংবাদিক আরাফাত সিদ্দিকী ও ‘সাইবার অপরাধ বাড়ছে: প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক সমকাল সাংবাদিক সাজিদা ইসলাম পারুল ফেলোশিপ পান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর