× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সমস্যায় জর্জরিত নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বাংলারজমিন

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার

চিকিৎসক, জনবল ও প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়েই চলছে কার্যক্রম। ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও পাঁচজন কর্মরত আছেন। ১ জন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আর বাকি পদ শূন্য। প্রায় ছয় লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরত চিকিৎসকরা। কখনো কখনো চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে ওয়ার্ড বয় দিয়েই চলছে জরুরি বিভাগ।  
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে নেই অ্যাম্বুলেন্স, নেই নৌ অ্যাম্বুলেন্স, জেনারেটর নেই,  ডেন্টাল মেশিন নেই, অ্যানেস্থেসিয়ার মেশিন ও ডাক্তার নেই, সিজারিয়ানের কোনো ব্যবস্থা নেই, ৮টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৬টিতে ডাক্তার নেই। আয়া নার্সের অভাবও রয়েছে।
নামে ৫৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও এখানেও নানান সমস্যা। নবীনগর থেকে জেলা সদরে  যাতায়াতের জন্য জলপথ ছাড়া আর বিকল্প রাস্তা নেই। তাই নৌ অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নবীনগর থেকে মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসা পেতে ঢাকা বা কুমিল্লা যেতে অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স না থাকার ফলে মৃত্যু ঝুঁকিতে রোগীরা। জেনারেটরের অভাবে বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। ডেন্টাল মেশিন ও প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকায় ডেন্টাল রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতাল ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। অ্যানেস্থেসিয়ার মেশিন ও ডাক্তার না থাকার ফলে অপারেশন রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাধ্য হয়েই প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হয়।  ৮টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৬টিতে ডাক্তার না থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ নিয়ে যেতে হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতালে।
আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত রোগীরা বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে যাচ্ছে। ৫৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও এখানেও  নানান সমস্যা ও অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন অনিয়মের।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সায়েমুল হুদা জানান,  প্রতিদিন তিন থেকে চারশ রোগী ভিজিট করতে হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বাড়াতে ও লোকবলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা রাখি অচিরেই সব সমস্যার সমাধান হবে।   

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর