পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দু’দফার ভোটে বিক্ষিপ্তভাবে গোলমাল হয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত ছিল না সে সব বুথেই গোলমাল, ভোটারদের বাধাদান ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তাই তৃতীয় দফার ভোট আরো নির্বিঘ্নে করার জন্য নির্বাচন কমিশন অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে বলে জানা গেছে। তৃতীয় দফায় আগামী ২৩শে এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে পাঁচটি লোকসভা আসনে ভোট নেয়া হবে। সেদিন যে সব আসনে ভোট হবে সেগুলো হলো- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, বালুরঘাট, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক শুক্রবার জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বাহিনী দিয়ে ভোট করায় দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে ভালো ভোট হয়েছে। তাই তৃতীয় দফায় আরো ৫০ কোম্পানি বাহিনী চাইব। এতে ৯০ শতাংশ বুথে বাহিনী দেয়া সম্ভব হবে।
এর আগে রাজ্যে প্রথম দফায় ২ আসনের ভোটে ৫১ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তবে প্রথম দফা ভোট শেষে বিরোধীরা কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের অভিযোগ- ভোটের সময় যে সব কেন্দ্রে রাজ্য পুলিশ ছিল, সেখানেই শাসক দল বেশি ভোট কারচুপি ও মারামারি করেছে। তাই বিরোধীরা সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছে। এর পরই দ্বিতীয় দফার তিনটি লোকসভা আসনের ৮০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার ভোটে ছিল ১৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। দ্বিতীয় দফা ভোটের শেষেও বাম দলগুলো নির্বাচন আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিজেপি নেতা ফের আরেকবার সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে একশ’ শতাংশ বুথে কেন্দ্রী বাহিনী রাখার দাবি জানিয়েছেন। এবার তাই তৃতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হতে পারে ২৫০ কোম্পানি। এছাড়া স্পর্শকাতর বুথে থাকবে সিসিটিভি, ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। করা হবে ভিডিওগ্রাফিও। নজর রাখবেন মাইক্রো অবজারভাররা। ওয়েবকাস্টিং করার ব্যবস্থার মাধ্যমে কলকাতা ও দিল্লিতে বসে কমিশনের কর্তারা সেই বুথের পরিস্থিতি সরাসরি দেখতে পারবেন বলে জানা গেছে।