× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জনস্রোত ঠেকাতে পারবেনা স্বৈরাচার সরকার: নজরুল ইসলাম খান

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২০, ২০১৯, শনিবার, ৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সারাদেশে শিগগিরই নতুন আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সেই আন্দোলনের জনস্রোত কোনো স্বৈরাচারী সরকার ঠেকাতে পারবেনা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দল এর আয়োজনে
এক মানববন্ধনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, আজকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। বিশ্বের যেখানে গণতন্ত্র আছে সেখানে মানুষ হয়রানি নিপীড়ন হয়না। আজকে লাখো মানুষের জীবন ও মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে আমরা অধিকার বঞ্চিত। আসলে ক্ষমতাসীনেরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এজন্য জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই।

তারা পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
তিনি বলেন, আজকে দেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক চারবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রাখা হয়েছে। যিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আপোসহীন।
আজ কারাগারে তাকে সুচিকিৎসা দেয়া হয়না। তিনি তো কোনো টাকা তছরুপ করেননি। আদালত প্রমাণ করতে পারেনি। অথচ দেশে আইন করে তছরুপকারীদের মওকুফ করা হয়েছে।
আমরা খালেদা জিয়ার নি: শর্ত মুক্তি চাই যেকোনো মূল্যে। আমরা সংসদে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। দলের সিদ্ধান্ত মানতে আমাদের দলের এমপিরা রাজি। খালেদা জিয়ার মুক্তি তার প্রাপ্য। রাজনৈতিক কারণে আইনি কারণে তার মুক্তি দাবি করি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খুনের আসামীকে মাফ করা হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় নাজমুল হুদা জামিন পেলেন আর খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রাখা হলো! আমরা তার মুক্তির আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব মানুষ রাজপথে নেমে আসলে সরকার ঠেকাতে পারবেনা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে আমরা মুক্তি করবো। কিন্তু সরকার তার মুক্তি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে। বিএনপি শপথও নেবেনা প্যারোলও নেবেনা। আমারা জনগণকে সাথে নিয়েই বিজয়ী হতে চাই।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আজকে দেশে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। এই সরকারকে দেশের জনগণ উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।

মানববন্ধনের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, চৌদ্দ মাস ১২ দিন ধরে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ বিনা কারণে মিথ্যা মামলায় তিনি কারাগারে বন্দি। কারণ করুণায় নয় মাকে ও মাতৃভুমিকে বাঁচাতে এক হয়ে মাঠে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান নিরাপদে দেশে ফিরবেন।

 জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুণ রায় চৌধুরী, জেবা আমিন খান, বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর