× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক মাসের মধ্যে তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যাংকের বুথ চালুর ঘোষণা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২১ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, আগামী একমাসের মধ্যে তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যাংকের বুথ চালু এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। এছাড়া পর্যটকদের ট্রাভেল ট্যাক্স বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা, এডভান্স ইনকাম ট্যাক্স ও রেজিস্ট্রেশন-ফি কমিয়ে আনা এবং ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন একদিনের মধ্যেই দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সকালে নগরীর দরগাহ্‌ গেইটস্থ একটি অভিজাত হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের উপর প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কাস্টম্‌স এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার গোলাম মো. মুনীর ও কর অঞ্চল-সিলেটের কর কমিশনার রণজিৎ কুমার সাহা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কাস্টম্‌স পলিসি মো. ফিরোজ শাহ্‌ আলম, সদস্য ভ্যাটনীতি আবদুল মান্নান শিকদার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মৃণাল কান্তি দেব, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. আসলাম উদ্দিন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সবার পরামর্শ বিবেচনা করে আগামী বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করবো। সবার অংশগ্রহণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র থেকে বড় শিল্পের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত মধ্যম আয়ের দেশ ও উন্নত দেশের পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে আমাদের সবাইকে সততার সঙ্গে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ আসন্ন বাজেটে বিবেচনা করার জন্য অনেকগুলো প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- করের বোঝা না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানো, তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যাংকের বুথ স্থাপন, স্থলপথে পর্যটকদের ট্যাক্স বাতিল, প্যাকেজ ভ্যাট চালু রাখা, ফল আমদানির বাধা অপসারণ, শেওলা বন্দর দিয়ে সবধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি, অগ্রিম শুল্ক বিধান বাতিল, পর্যটনের বিকাশে হোটেল-রিসোর্টগুলোকে ১০ বছরের কর অবকাশ প্রদান, স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নতুন শিল্প স্থাপনে কর অবকাশ প্রদান। মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন। সভায় বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ও বক্তব্য রাখেন- পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, শুল্ক, কর ও ট্যারিফ সাব-কমিটির আহ্বায়ক মো. হিজকিল গুলজার, পরিচালক পিন্টু চক্রবর্তী, কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি চন্দন সাহা ও মো. আতিক হোসেন, সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টু, সিএন্ডএফ এজেন্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. বশিরুল হক, হবিগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক শেখ আনিসুজ্জামান, গণদাবি পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, গণদাবির কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি অধ্যাপক শফিকুর রহমান এডভোকেট, সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক নুরুল ইসলাম, কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো. আবুল ফজল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম পাঠান, সাংবাদিক কলামনিস্ট আফতাব চৌধুরী, ফল ও কাঁচামাল আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা চৌধুরী, বিসিক শিল্প মালিক সমিতি গোটাটিকরের সাধারণ সম্পাদক আলীমুল এহছান চৌধুরী, রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজনু মিয়া, সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিয়াউল হক, সিলেট চেম্বারের পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সাংবাদিক মুহিত চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, বিজিবি সিলেটের সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল আহমেদ ইউসুফ জামিল পিএসসি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব ইখতিয়ার উদ্দিন মো. মামুন, মো. ওয়াহিদ উল্লাহ, এবিএম শফিকুর রহমান, হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার, দ্বিতীয় সচিব মো. তারিক হাসান, মোহাম্মদ মেহরাজ উল-আলম সম্রাট, শাহ্‌ মো. ফজলে এলাহী, উপ-সচিব মো. কামরুল হাসান, যুগ্ম কর কমিশনার মিনহাজ উদ্দিন পাহলোয়ান, সিলেট চেম্বারের পরিচালক মো. সাহিদুর রহমান, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মো. আবদুুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমেদ, জনতা ব্যাংকের জিএম মো. আসাদুজ্জামান, কাস্টম্‌স ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন চেম্বারের প্রতিনিধিবৃন্দ, ব্যাংকার, সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ, করদাতাবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর