× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে
২১ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে সেতু মণ্ডল (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের দাবিতে গতকাল পৃথক দুই স্থানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা সেতু মণ্ডলের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। নিহত সেতু মন্ডল সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী গোপাল মন্ডলের মেয়ে। সেতু মন্ডল নিজ গ্রামের পার্শ্ববর্তী ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সেতু মন্ডলের জেঠা পবিত্র মন্ডল জানান, গত বুধবার সকালে বসত-ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় সেতু। তাৎক্ষনিক পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করলে ওই দিন বিকেলে সে মারা যায়। তিনি জানান, গত ৯ই এপ্রিল সেতু মন্ডল স্কুলের যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়।
এরপর সে আর বাসায় ফিরেনি। দুই দিন পর ১১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ি তাকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ বাড়িতে খবর দিলে, পরিবারের লোকজন গোলামবাজার ফাঁড়ি থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে ফেরার ৫ দিন পর গত বুধবার সেতু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করে। এবিষয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কবিরুল ইসলাম জানান, গত ১১ই এপ্রিল গোলামবাজার এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে ওই স্কুল ছাত্রীকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। এতে পুলিশ যুবক ও স্কুল ছাত্রীকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয় ও স্কুল ছাত্রীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর ৫ দিন পর সেতু মন্ডল আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় সেতু মন্ডলের মা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত সোহেলকে প্রধান আসামি এবং অজ্ঞাত আরো ২জনকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণসহ ৪টি ধারায় মামলা দায়ের করেন । সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ফরিদউদ্দিন মামলার বাদী রেখা মন্ডলের বরাত দিয়ে জানান,  সেতু মন্ডল উদ্ধারের সময় অনেকটা অচেতন ছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তার মাকে জানিয়েছে, সোহেল নামের এক যুবক তাকে সেখানে নিয়ে যায়। পর দিন একটি স্থানে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, মেয়েটি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিল এবং কোন নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর