× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পিতা-মাতার দ্বন্দ্বের বলি জৈন্তাপুরের শিশু

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২১ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার

জৈন্তাপুরের ফিশারি হতে উদ্ধারকৃত শিশুর মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। শিশুর মা বাদী হয়ে  জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার জৈন্তাপুর উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের আওতাধীন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ‘পাখিটিখি’ এলাকার ফিশারি হতে পুলিশ এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। শিশুর পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ সকলের সহযোগিতা চায়। উদ্ধারকৃত শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্ট হওয়ার পর বেরিয়ে আসে শিশুর পরিচয়। নিহত শিশু সিলেট শাহপরাণ থানাস্থ খাদিমনগর, রুস্তুমপুর নাদিয়া ভিলার বাসিন্দা সিলেট ফুলকালি লি. কারিগর সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন ও বিলকিছ বেগমের ছেলে মো. মুরসালিন (১১ মাস)। এদিকে- উদ্ধার হওয়া শিশুর মা বিলকিছ বেগম জানান, তারা লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর থানার শাকচর গ্রামের বাসিন্দা। স্বামী সিলেটের ফুলকালি শাখায় কারিগর সহকারী হিসেবে কর্মরত থাকার কারণে বিগত ৭-৮ মাস পূর্ব হতে সিলেটে বসবাস করে আসছে।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ নিয়ে ৩ মাস পূর্বে কথা কাটাকাটি হয় এবং বিষয়টি এক পর্যায় মিটমাট হয়। অপরদিকে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে বিলকিছ বেগমের স্বামী ১১ মাস বয়সী মুরসালিনকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। বিষয়টি শিশুর মা বিলকিছ বেগম লক্ষ্মীপুরের পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে জানান। দুপুরে প্রতিবেশীর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে শিশুর ছবি দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নাদিয়া ভিলার বাসিন্দারা বিলকিছ বেগমের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করলে পরিবারের সদস্যরা  জৈন্তাপুর মডেল থানায় যোগাযোগ করেন। গতকাল শিশুর মা নিকটাত্মীয় নিয়ে জৈন্তাপুর থানায় হাজির হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে শিশু হত্যায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযোটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. মাইনুল জাকির প্রতিবেদককে বলেন, উদ্ধার হওয়া শিশুর মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর