সিলেটের হজরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থান। এখানে তিনিসহ সিলেটের অসংখ্য খ্যাতিমানরা শায়িত আছেন। এই কবরস্থানে সিলেটের অনেক বিখ্যাত মানুষের শেষ ঠিকানা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বৃহৎ এই কবরস্থানের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করছে সিসিক কর্তৃপক্ষ। সিলেটের অনেক গুণীব্যক্তিদের কবর এখানে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এটি সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও কবরস্থানটির আধুনিকায়ন ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। আসন্ন পবিত্র রমজান ও শবেবরাতকে সামনে রেখে কবরস্থানের আধুনিকায়ন ও সংস্কারের উদ্যোগ নেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কবরস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, হেলে পড়া গাছ কর্তন ও ছাঁটাই, রং করে সৌন্দর্য বর্ধন বৃদ্ধি করতে ইতিমধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।
এছাড়া সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবদানে কবরস্থানে মাঠি ভরাট, বিদ্যুৎ, লাশের গোছলখানা সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ চলছে। রোববারের মধ্যে আধুনিকায়নের কাজ শেষ হবে জানিয়ে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রোববার পবিত্র শবেবরাতের রাতে এই কবরস্থান একটি আধুনিক ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এবাদত-বন্দেগি পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তিনি বলেন, কবরস্থানের পেছনের কিছু অংশ অনেকেই অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ছিল, সেগুলোও উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধভাবে কেউ যাতে কবরস্থানের জায়গা দখল করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। জায়গা সমপ্রসারিত করা হবে যাতে করে লাশ কবর দেয়ার সময় কোনো বেগ পোহাতে না হয়। লাশ গোসলের জন্য মহিলাদের গোসল খানা ও পুরুষদের গোসল খানা আলাদাভাবে তৈরি করা হবে। এছাড়া আগামীতে লাশ সংরক্ষণে রাখার জন্য অত্যাধুনিক মরচুয়ারি স্থাপন করার কথাও জানান মেয়র। এছাড়া মৃত ব্যক্তিদের কবর জিয়ারত নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কবরের প্রবেশমুখে স্থাপন করা হয়েছে আলো-ঝলমলে সুবিশাল গেট। মসজিদের মিনার আকৃতির সেই গেটের চারপাশে আছে অত্যাধুনিক আলোক ব্যবস্থা। কবরের চারপাশের উঁচু দেয়াল বানানো হয়েছে। দেয়ালে আরবি হরফে লেখা কোরআন ও হাদিস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কবরস্থানটিতে ঢুকতেই টিলার উপর পর্যন্ত অর্থাৎ হজরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থান পর্যন্ত লম্বা সিঁড়িগুলোকেও সাজানো হয়েছে নানা রংয়ে। পবিত্র সবেবরাত ও রমজানে নগরবাসী এখানে কবর জিয়ারত ও এবাদত বন্দেগি করতে আলাদা একটি পরিবেশ পাবেন বলে জানান স্থানিয় ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ।