× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সাংবাদিকদের আগ্রহ বেশি

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি নেতারা যতখানি আগ্রহী, তার চেয়ে বেশি সাংবাদিক বন্ধুরা আগ্রহী। তাদের কাছ থেকে বারবার এই প্রশ্নগুলো আসছে। বিএনপি নেতারা কখনও বলছেন না যে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন, আমাদের কাছেও এরকম কোনো তথ্য নেই। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সংসদে যাওয়া না যাওয়ার সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির কোনো বিষয় নেই।  তার জামিনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত হতে পারে না। তিনি রাজনৈতিক কারণে কারাগারে নন। ২০০৭ সালে, ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা করেছিল দুর্নীতির অভিযোগে। সেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে দণ্ড দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের বিষয়ে হানিফ বলেন, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মুক্তির বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দ্বিতীয় আরেক পন্থা আছে, সেটা হলো কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাঁর অপরাধ স্বীকার করে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করলে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। এই দুটি পদ্ধতি ছাড়া আর কোনো পদ্ধতি আছে বলে আমাদের জানা নেই। খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি কারাবিধি অনুযায়ী হবে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এখন অবধি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে কি না আমাদের জানা নেই। তবে সাংবাদিকদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে অথবা বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁর প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁরা বিবেচনা করতে পারেন। এর সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে এই জাতীয় সংসদে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত যাঁরা নিয়েছেন, এটা একটা খুব বাজে সিদ্ধান্ত হিসেবে মানুষের কাছে থাকবে। এ ধরনের রাজনীতি সংসদে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাম্য নয়।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত চিঠি, ছবি, তথ্য-উপাত্ত কারও কাছে থাকলে তা সংগ্রহ করে কেন্দ্রে পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭-এর পরে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আন্দোলনুসংগ্রাম করেছেন, বিভিন্ন সভা-সেমিনার করেছেন। এ ছাড়া তাঁর কর্মকাণ্ড পরিচালনার সময় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদি এ রকম কোনো ঘটনা থাকে, সেই তথ্য-উপাত্ত স্ব স্ব জেলায় সংগ্রহ করে আমাদের কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর