× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নুসরাত হত্যা /নুসরাত হত্যা ধামাচাপা দিতে অর্থ লেনদেন হয়েছে: সিআইডি

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২১ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার

মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে অর্থ লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। নুসরাতকে হত্যার নির্দেশদাতা, ইন্ধনদাতা, হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য আরো কয়েকজনের মধ্যে এই অর্থ লেনদেন হয়েছে।  পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ইতিমধ্যে অর্থ লেনদেনের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। তাই সিআইডির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিঠি গঠন করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গঠিত সিআইডির তদন্ত কমিটি শিগগিরই সোনাগাজী যাবে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।

সিআইডি জানিয়েছে, আলোচিত এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটির মূল তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এছাড়া হত্যাকান্ডের পেছনে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠার পর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পৃথক আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সেই কমিটিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য বড় অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে। তাই অর্থের যোগানদাতা, অর্থের উৎস, কয়জনকে সেই অর্থ দেয়া হয়েছে সিআইডির তদন্ত টিম বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এমনকি অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে।  

মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে জানতে পেরেছি নুসরাত হত্যাকান্ডে অর্থের লেনদেন হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে এই হত্যাকান্ডে অনেকেই অর্থায়ন করেছে। আবার কেউ বোরকা, কেউ কেরোসিন কিনে দিয়েছেন। এছাড়া অর্থ দিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন অনেকে। তিনি বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়টি সিআইডি দেখে তাই আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি।

আমাদের একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে যাবে। তারা অনুসন্ধান করে দেখবে এসব অর্থের উৎস, কোন কোন খাতে অর্থ দেয়া হয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানে যখন পুরোপুরি অর্থ লেনদেনের সত্যতা পাবো তখন আমরা মামলায় যাবো।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, নুসরাত হত্যাকান্ডে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়েই তদন্তে নামছে সিআইডি। অনুসন্ধানে বেশ কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে। হত্যার পরিকল্পনায় যেমন অনেকে জড়িত আছেন তেমনি পরামর্শ দাতাও আছেন। প্রতিটা ক্ষেত্রেই অর্থের সংশ্লিষ্টতা ছিল। এই সূত্র আরো বলছে, মানিলন্ডারিং আইনে আছে কোনো অপরাধ ঘটলে তার পেছনে বৈধ টাকা অবৈধভাবে ব্যবহার করলেও মানিলন্ডারিং হয়। নুসরাত হত্যার ঘটনায় সেটা হয়েছে। তাই এ ঘটনায় অনেকের ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর