× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ছবি দেখছি এবার’

বিনোদন

কামরুজ্জামান মিলু
২২ এপ্রিল ২০১৯, সোমবার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রোজিনার জন্মদিন ছিল ২০শে এপ্রিল। শুভেচ্ছা জানানোর পর তার কাছে প্রশ্ন-কিভাবে কাটালেন জন্মদিন? উত্তরে তিনি বলেন, এখন জন্মদিন বিশেষভাবে কাটানোর কিছু নেই। অনেক পরিচিত বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন এবং সহকর্মীদের মধ্যে অনেকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর বাসায় একটি গার্ডেন আছে আমার। সেখানে কিছুটা সময় কাটানোর পর সেন্সরবোর্ডে জুরি সদস্য হিসেবে ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি ছবি দেখলাম। জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ছবি দেখছি এবার। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের চলচ্চিত্র দেখার জন্য এবার আলাদা করে দুটি কমিটি করা  হয়েছে।

জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমি ২০১৮ সালের ছবিগুলো দেখছি।
১৩ সদস্য বিশিষ্ট জুরি বোর্ডে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) সভাপতি করা হয়েছে। এবার জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ছবি দেখছেন, অভিজ্ঞতা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র মিলে ২০১৮ সালের মোট ৩৯টি ছবি দেখতে হচ্ছে এবার। রমজান পর্যন্ত আমরা ছবিগুলো দেখব। সব ছবি তো ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে ‘পুত্র’, ‘দেবী’সহ কয়েকটি ছবির গল্প ভালো লেগেছে। ছবি দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে কি বাছাই করা হয়? উত্তরে রোজিনা বলেন, সব ছবি দেখার পাশাপাশি নাম্বার দেয়া হয়। নাম্বার দেয়া শেষে ছবিগুলো থেকে একটি শর্টলিস্ট করা হবে। সেগুলো থেকে বাছাই করে সবশেষে কয়েকটি ছবি নির্বাচন করা হবে। এই তো।

প্রথমবার জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছি। বিষয়টি ভালোই উপভোগ করছি। তবে আরো জীবনধর্মী ছবি দর্শকদের কাছে পৌছানো উচিত। চিত্রনায়িকা রোজিনা অনেকদিন লন্ডনে ছিলেন। লন্ডন ও বাংলাদেশ মিলেই থাকা হয় তার। ২০০৫ সালে সর্বশেষ মতিন রহমানের পরিচালনা ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ‘রাক্ষুসী’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন নায়ক ফেরদৌস। তারপর আর কোনো ছবিতে তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। তবে মাঝে রোজিনা ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার জনপ্রিয় ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান ‘বিশ্বরঙ’-এর এক ফ্যাশন শোতে অংশ নেন। এখনো চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবেন এ অভিনেত্রী। তার প্রতিষ্ঠান ‘রোজিনা ফিল্মস’ থেকে ‘জীবন ধারা’ এবং ‘দোলনা’ নামে দুটি ছবি প্রযোজনা করেন তিনি।

এছাড়া তার প্রোডাকশনের বাইরে আরো কয়েকটি ছবি প্রযোজনা করেছেন তিনি। এদিকে বর্তমানে তার গ্রামের বাড়ি গোয়ালন্দের কুমড়াকান্দিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তিনি। রোজিনা বলেন, গ্রামের বাড়িতে মাঝে মধ্যেই যেতে হচ্ছে। সেখানে মজসিদ নির্মাণের জন্য জায়গা রেজিস্ট্রেশনের কাজটা করেছি। আমার গ্রামের বাড়ির রাস্তায় আমাদের জমির উপর হবে মসজিদটি। এটা আমার অনেকদিনের স্বপ্ন। মায়ের নামে এটি করার ইচ্ছে আছে। পাশাপাশি নিজের লেখা একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করার কথাও ভাবছেন ঢালিউডের এই জনপ্রিয় মুখ। উল্লেখ্য, নিজের প্রযোজনার ছবি ‘জীবন ধারা’র জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান। ১৯৮৬ সালে ‘হাম সে হায় জামানা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি পাকিস্তান থেকে নিগার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

এ ছবিতে রোজিনার বিপরীতে ছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক নাদিম। এসব বিষয়ে রোজিনা বলেন, কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন দেশ থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ ছোট-বড় ১৫টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছি। চলচ্চিত্রে অনেক কম পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আর এখন তো অনেকেই রাতারাতি তারকা। রোজিনার পারিবারিক নাম রেনু। ১৯৭৭ সালে মহসীন পরিচালিত ‘আয়না’ ছবিতে ছোট একটি চরিত্রে শায়লা নাম নিয়ে প্রথম দর্শকের সামনে আসেন তিনি।

এফ কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘রাজমহল’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে তার অভিষেক হয়। পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রোজিনা। পুরো আশি ও নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন ঢালিউডের চাহিদাসম্পন্ন নায়িকা। চলচ্চিত্রে  দীর্ঘ সময়ের পথচলায় অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর