শ্রীলঙ্কায় হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের নাতি জায়ানের মৃতদেহ দেশে আসছে আগামীকাল। এরই মধ্যে ব্রুনাই সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ও শেখ সেলিমের ছেলে শেখ সাইম শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। ঢাকা থেকে সেখানে গিয়েছেন শেখ সেলিমের স্ত্রী ও আরেক ছেলে শেখ নাইম।

অন্যদিকে নাতি জায়ান নিহত হওয়ার খবরে শেখ সেলিমের বনানীর ৯ নম্বর সড়কের বাসভবনে ভিড় করছেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। ভেতরে চলছে পবিত্র কোরআন খতম। নাতি নিহত হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছেন শেখ সেলিম। নেতাকর্মীরা তাকে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। তার বাসায় আসেন সাবেক মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বিয়াই খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, শ্রীলঙ্কার ওই হামলায় শেখ সেলিমের জামাই প্রিন্স ‘বাজেভাবে আহত’ হয়েছেন। তার পায়ে বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে তিনি ‘মুভ’ করতে পারবেন না।

শেখ সেলিমকে সান্তনা দিয়ে ফিরে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, হামলার ঘটনার সময় তার মা সোনিয়া ছোট ছেলেকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন হোটেল কক্ষে। কিন্তু বিস্ফোরণের ভয়াবহতা তাদেরকেও আঘাত করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শেখ সেলিমের মেয়ে সোনিয়া। তার অবস্থাও ভাল না বলে জানান তিনি।

নিহত জায়ানের বয়স মাত্র আট বছর। সে ঢাকার সানবীম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যান শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া। তারা ওঠেন সেখানকার পাঁচ তারকা হোটেল সাংগ্রি-লা’য়। রোববার সকালে সেখানে সকালের নাস্তা করতে জায়ানকে সঙ্গে নিয়ে নিচে নামেন জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স। এ সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নিহত হয় জায়ান। মারাত্মক আহত হন প্রিন্স। তাদের আজ সোমবার দেশে ফেরার কথা ছিল।
জায়ানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন বিভিন্ন জন। ব্রুনাই সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, জায়ান নিখোঁজ। আহত হয়েছেন প্রিন্স। তাদের জন্য তিনি দোয়া চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই শেখ সেলিম।