৪ দিনেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের কালা মিয়ার কেটে নেয়া পা-টি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বর্বরোচিত এ ঘটনার নায়ক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আবুল বাশার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় আবুল বাশারকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ১৫-২০ জনকে।
ঘটনার শিকার কালা মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে গতকাল (রোববার) সকালে এ মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার নায়ক আবুল বাশারকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার রূপসদী গ্রামে পূর্ববিরোধের জের ধরে আবুল বাশার ও তার সহযোগীরা কালা মিয়া (৪৫) এবং তার ছেলে বিপ্লব মিয়াকে (১৯) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টেঁটাবিদ্ধ করে। শতশত লোকের সামনে তারা এ ঘটনা ঘটায়। কালা মিয়া মাটিতে লুটে পড়লে ধারালো দা দিয়ে তার ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত কেটে নিয়ে যায় বাশার ও তার সহযোগীরা।
এ সময় কালা মিয়ার ছেলে বিপ্লবের দুই পায়ের রগও কেটে দেয় তারা। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কেটে নেয়া পা উদ্ধারে অভিযান শুরু করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করে। বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, বিশাল এলাকা। পা কেটে কোথায় রেখেছে, সেটি তারা ট্রেস করতে পারছেন না। বাশারকে ধরার জন্যেও চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে শনিবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আবুল বাশারকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানান। এতে বলা হয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার সহ সভাপতি আবুল বাশার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে তার সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার ও প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হলো।