× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গণঅন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু, নিহতের সংখ্যা ৩২১

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২৩, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১:২৬ পূর্বাহ্ন

সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রথম অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। আজ সেখানে শোক পালিত হচ্ছে। প্রথম গণ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে নেগোম্বোতে অবস্থিত সেইন্ট সেবাস্তিয়ান গির্জায়। ওদিকে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২১। সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে অনলাইন বিবিসি।

আজ সেখানে তিন মিনিটের নীরবতা পালিত হয়েছে। আরো হামলার আশঙ্কায় জরুরি অবস্থা বহাল রয়েছে। ওদিকে রোববারের হামলার জন্য স্থানীয় ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াতকে (এনটিজে) দায়ী করছে সরকার।
তবে এই গ্রুপটির বড় কোনো হামলা চালানোর ইতিহাস নেই। গত বছর তারা বৌদ্ধ মূর্তি ভাংচুর করেছিল এতটুকুই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে হামলার দায় স্বীকারের কথা বলা হলেও বিবিসি তার সর্বশেষ রিপোর্টে বলছে, এনটিজে বা অন্য কোনো গ্রুপ হামলার দায় স্বীকার করে নি। একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে ৪০ জনকে। ওদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সিরিয় নাগরিক রয়েছেন।

রোববার কলম্বোর উত্তরে নেগোম্বোতে অবস্থিত সেইন্ট সেবাস্তিয়ান গির্জায় বোমা হামলা হয়। সেখানেই আজ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হচ্ছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে প্রথম বোমা হামলা হয়। সেই সময়কে স্মরণীয় করতে একই সময়ে নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা ছিল অর্ধনমিত। লোকজন নীরবতা পালন করার সময় মাথা নিচু করে শ্রদ্ধা জানান নিহত ও আহতদের প্রতি।
ওদিকে জারি করা জরুরি অবস্থা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সন্দেজভাজনদেরকে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষমতা দিয়েছে। এর আগে গৃহযুদ্ধের সময় এমন ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল তাদেরকে।

ওদিকে আগে থেকে সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও কেন হামলা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি তা নিয়ে সমালোচনা আছে। তোলপাড় চলছে সরকারে। বিষয়টি পুলিশ প্রধান পুজুথ শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানালেও তা প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহ বা মন্ত্রীপরিষদকে জানানো হয় নি বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদের মুখপাত্র রজিথা সেনারতেœ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে ও প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার মধ্যে বিরোধ আছে। এ জন্যই হয়তো রনিল বিক্রমাসিংহকে নিরাপত্তার বিষয়ে ব্রিফিং করা হয় নি। বিষয়টি তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর