× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে মাদকের কারবার

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারিরা বেপরোয়া। চিহ্নিত দুই মাদক কারবারিকে নিয়ে বেকায়দায় প্রশাসনও। তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা হলো- শহরের দক্ষিণাংশের আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটু ও সাখাওয়াত ইসলাম। এরমধ্যে ফেনসিডিলসহ সাখাওয়াত ইসলাম পুলিশের হাতে একবার গ্রেপ্তার হলেও সালাউদ্দিন বিটু একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে বেরিয়ে এসে একই কায়দায় মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শেল্টার থাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। এলাকাবাসী এই দুই মাদক ব্যবসায়ীসহ এলাকার চিহ্নিত অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকাবাসী ও পুলিশের তথ্যমতে, শহরের তামাকপট্টি এলাকার আবিদ আলী চৌধুরী ওরফে হাবলু চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিন বিটু ও শহরের টানবাজার পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে সাখাওয়াত ইসলাম রানা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
তারা মাদকের বড় বড় চালান এনে নারায়ণগঞ্জে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়। এরমধ্যে সাখাওয়াত ইসলাম ২০১৪ সালের ২৩শে মার্চ রূপগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ৬০০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়। ওইদিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ ফিলিং স্টেশনের পূর্বে মদিনা ডায়িং মিলের পশ্চিম পার্শ্বে চেকপোস্ট বসিয়ে বেলা ১টার দিকে একটি কালো রংয়ের নোয়াহ মাইক্রোবাসে তল্লাশির সময় গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ সাখাওয়াত ইসলাম রানা এবং তার দুই সহযোগী দুলাল মিয়া ও আরজ আলীকে আটক করে। পরে মাইক্রোবাসের ভেতরে তল্লাশি করে একটি প্লাস্টিকের বস্তায়  ভর্তি ২০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের ভাড়াকৃত ট্রাক থেকে আরো ২টি প্লাস্টিকের বস্তাভর্তি ৪০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এরপর মাইক্রোবাস, ট্রাক ও আটককৃতদের ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় রূপগঞ্জের ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশের এ এস আই মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সাখাওয়াত ইসলামকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে শহরের শীতলক্ষ্যা তামাকপট্টি এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটু দীর্ঘদিন ধরে শহর ও এর আশেপাশের এলাকায় পাইকারি ও খুচরা ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের অন্যতম একজন হলো সালাউদ্দিন বিটু। তার রয়েছে বিশাল মাদকের নেটওয়ার্ক। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা হিসেবেই তাকে চেনে এবং জানে শহর ও শহরতলির মাদক বিক্রেতারা। আরেক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হাজী ইব্রাহিমের অন্যতম শিষ্য এই সালাউদ্দিন বিটু। বেশ কয়েকবার বড় বড় মাদকের চালান নিয়ে আটক হলেও ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদে ফের জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে এই ভয়ঙ্কর মাদক ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি রাতে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ শহরের নিতাইগঞ্জ তামাকপট্টি এলাকার শুক্কুর মিয়ার রিকশার গ্যারেজ থেকে ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হয় বিটু। একই বছরের ১৯শে আগস্ট বিটুকে সাড়ে ৩০০ পিস ইয়াবাসহ তামাকপট্টি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। বিটু এর আগেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কদমতলী থানায় সাড়ে ৫০০ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়।
সবশেষ চলতি বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারি সালাউদ্দিন বিটুর সেকেন্ড ইন কমান্ড বুইট্টা সুজন, শাহীন ও আরিফকে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ। এরপর গা-ঢাকা দেয় মাদক সম্রাট সালাউদ্দিন বিটু। জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ বিপিএম, পিপিএম (বার) বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় নেই। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যত তদবিরই থাকুক না কেন আইনের হাত থেকে অপরাধীরা ছাড় পাবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর