× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরিশালে দেদার চলছে কোচিং বাণিজ্য

বাংলারজমিন

জিয়া শাহীন, বরিশাল থেকে
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ তোয়াক্কা করছেন না বরিশালের সরকারি শিক্ষকরা। এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যেই চুটিয়ে কোচিং করে চলেছেন। একেকজন শিক্ষকের কাছে ৮-১০টি ব্যাচে শতাধিক ছাত্র কোচিং করছেন। সরকারি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোচিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর বাইরে যেসব কোচিং সেন্টার রয়েছে সেগুলোও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বরিশালে বিষয়টি থোড়াই কেয়ার করছেন শিক্ষকরা। দিন রাতে এরা কোচিং করে চলেছেন। এই কোচিং করানোর মধ্যে শীর্ষে যে কয়জন সরকারি কলেজের শিক্ষক আছেন তার মধ্যে অন্যতম সরকারি আলেকান্দা কলেজের শিক্ষক সোলায়মান।
নীরব প্রশাসন। মাত্র ১২ দিনে হাতিয়ে নিচ্ছেন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সরকারি কলেজের শিক্ষক হয়েও তিনি জেনে-বুঝে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। বরিশাল সরকারি আলেকান্দা কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মো. সোলায়মান সব জেনে-শুনে দেদারছে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। কোচিং বাণিজ্যের ব্যাপারে শিক্ষক সোলায়মান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন রয়েছে। এতো একজনের কথা। নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের (সদর গার্লস) শিক্ষক নাজমা, সরকারি জিলা স্কুলের ফয়সাল, খলিল, সিরাজ, ফাহিদ। এদেরও রয়েছে দীর্ঘ শিক্ষার্থী তালিকা। সোমবার দুপুরে দেখা গেল সোলায়মান স্যারের কোচিং সেন্টারের চিত্র। সমাজসেবা অফিসের পাশে কাউয়ুম স্যারের ভবনের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কোচিং করাচ্ছেন। একটি ব্যাচে প্রায় ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী পাওয়া গেল। সন্ধ্যায় বাসায় বসেও কয়েকটি ব্যাচ পড়ান। ছবি ধারণের পর পরই শুরু হয় তদবির। প্রলোভনও। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. অজিয়র রহমান জানান, কোচিং বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষেধ। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন মানবজমিনকে বলেছেন, বরিশালে কোচিং বাণিজ্য তদারকি করার দুটি কমিটি রয়েছে। একটি বিভাগীয়, অপরটি মহানগর। মহানগরের আহ্বায়ক বিভাগীয় কমিশনার এবং সদস্য সচিব মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা পরিদপ্তরের পরিচালক। তিনি তাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর