× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহক না হয়েও মামলায় হাজতবাস

বাংলারজমিন

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

ময়মনসিংহের ভালুকায় পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহক না হয়েও পাঁচ হাজার একান্ন টাকা বকেয়া বিলের মিথ্যে মামলায় উপজেলার বিরুনীয়া গ্রামের মুসলেম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন মণ্ডলকে (৫০) তিনদিন হাজতবাস করতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ মামলা হয়েছে পাশের কাইছান গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. জামাল উদ্দিনের (জালাল) নামে। হাজতবাসের পর হয়রানির শিকার ব্যক্তি মামলার কপির জন্য বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তাকে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি বলে তার অভিযোগ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ (ভালুকা) এর গ্রাহক কাইছান গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. জামাল উদ্দিনের (জালাল) নামে ৩৫২-৫৩০০ হিসাব নম্বরে পাঁচ হাজার একান্ন টাকা বকেয়া বিলের অভিযোগ দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভালুকার তৎকালীন এজিএম (প্রশাসন) মো. সেকান্দর আলী বাদী হয়ে বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ সালের ৪০,৩২(১) বিজ্ঞ স্পেশাল প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বিদ্যুৎ আদালতে মামলা (নম্বর ৬৬৩০/১৮) দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ১৩ই এপ্রিল রাতে বিরুনীয়া গ্রামের মুসলেম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন মণ্ডলকে নিজ বাড়ি থেকে মডেল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করে। তিনদিন বিনা অপরাধে তিনি হাজতে থাকার পর এক হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিনে ছাড়া পান। হয়রানির শিকার ব্যক্তি জালাল উদ্দিন মণ্ডল জানান, তিনি পল্লী বিদ্যুতের কোন গ্রাহক নন। অথচ পাঁচ হাজার একান্ন টাকা বকেয়া বিলের মামলায় তিনদিন তাকে হাজত বাস করানো হয়েছে। জামিনে বের হয়ে তিনি ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (ভালুকা) এর কার্যালয়ে গেলে অফিসের লোকজন তাকে মামলার কপি সরবরাহ এমনকি কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি।
এ ব্যাপারে মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলকারী ভালুকা মডেল থানার এসআই মোস্তফা জানান,  গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আসামির নাম ঠিকানা দেখেই তাকে গ্রেপ্তার করে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (ভালুকা) এর এজিএম (অর্থ) তুহিন রহমান জানান, ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে মামলার কপি দিতে জিএম স্যারের নিষেধ থাকায় তা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে জিএম প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর