× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লালমোহনে এক কক্ষে দুই শ্রেণির পাঠদান

বাংলারজমিন

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১১৫ নং মধ্য রায়চাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে এক কক্ষের ভেতর দুই শ্রেণির পাঠদান করানো হচ্ছে। ১৯৮৪ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৮ সালে স্কুলটির জন্য একটি ভবন নির্মিত হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়টির ভবন সংস্কার করা হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষের ভেতর একটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। অন্য দুইকক্ষে প্রথম শিফটে এক রুমে শিশু ও প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শিফটে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। যার কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১১৫ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছমা, তামান্না, সুইটি, শাকিল ও রাফেজ জানায়- আমাদের বিদ্যালয়ের খুবই খারাপ অবস্থা। বর্ষার সময় ক্লাসের ভেতর পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। এর মধ্যে একটি ক্লাসের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় সেখানে আমাদের শিক্ষকরা পড়াতে পারে না। আমাদের একটি রুমের ভেতর দুই শ্রেণির পাঠদান করাচ্ছেন স্যাররা। যার কারণে আমাদের পড়ায় মন বসছে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জিৎ কুমার মৃধা বলেন, প্রতি বছরই আমাদের বিদ্যালয় থেকে ছাত্রছাত্রীরা সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করছে। তবে প্রতিদিনই আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। কারণ আমাদের বিদ্যালয় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে কয়েক বছর ধরে। উপজেলা শিক্ষা অফিসে কয়েকবার বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হলেও তারা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা পড়েছি চরম বেকায়দায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই ভবনের মধ্যেও পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এই বিদ্যালয়ে তিনটি ক্লাস রুম রয়েছে। যার মধ্যে একটি রুমের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সেখানে ক্লাস করানো যাচ্ছে না। যার কারণে সকালে শিশু শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণি এবং দুপুরে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক রুমের ভেতর ক্লাস করাতে হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। শিগগিরই যদি এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তাহলে বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান ক্ষুণ্ন হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আইয়ুব আলী বলেন, আমি এখানে নতুন। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা করেছি। তা পাশ হলেই এ সমস্যা সমাধান হবে বলে মনে করি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর