× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৈয়দপুরে ইমদাদুল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি

বাংলারজমিন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

নীলফামারীর সৈয়দপুরে চাঞ্চল্যকর চটপটি বিক্রেতা হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। গতকাল দুপুরে উপজেলার ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়াস্থ বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- নিহতের বড় মেয়ে ইন্তেজা আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রতিবেশী ওসমান গণির সঙ্গে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে ৮ বছর ধরে মামলা চলছে। এরই জের ধরে গত ১০ই এপ্রিল রাতে ওসমান গণির ঘনিষ্ঠ একই এলাকার আবদুল মালেক, বাবু ও রমজান আলী ইমদাদুল হকের বাড়িতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য ইমদাদুল ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে বাড়ির পাশে ওয়াপদা মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে তারা দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর ইমদাদুল পরে যাবে বলে তাসলিমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন আবদুল মালেক। রাত সাড়ে ১০টায় তারা আবারও ইমদাদুল হককে খুঁজতে তার বাড়িতে আসেন। এতে স্ত্রী তাসলিমার সন্দেহ হলে স্বামীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেন। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেই রাতে তাকে আর পাওয়া যায়নি। ভোরে বাড়ির পিছনে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় ইমদাদুল হকের মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। ১১ই এপ্রিল এ ঘটনায় নিহত ইমদাদুল হকের বড় মেয়ে ইন্তেজা বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি এজাহার করেন। কিন্তু প্রায় ২ সপ্তাহ হলেও পুলিশ ওই এজাহার এখনও এন্ট্রি করেনি বলে দাবি করেন নিহতের পরিবার। তারা আরও অভিযোগ করেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কোনো ভূমিকা রাখছে না।
এমনকি পুলিশও এটাকে আত্মহত্যা বলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। তারা আরও জানান, ইমদাদুলের পা মাটিতে ভাঁজ করা ছিল। এছাড়া মরদেহে আত্মহত্যার কোনো আলামত ছিল না। নিহত চটপটি বিক্রেতা ইমদাদুল হকের হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন ইমদাদুলের অসহায় পরিবার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর