× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

বাংলারজমিন

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গত শুক্রবার গভীর রাতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণের পর ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ধর্ষকের কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করে অন্যগ্রামে এক সহপাঠীর বাড়িতে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সে। লজ্জায় অপমানে পরদিন শনিবার দুপুরে ওই বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মেয়েটি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গত শনিবার রাতে ইয়াসিন মিয়া (২২) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামে গিয়ে জানা যায়, গত শনিবার দুপুর থেকে স্বজনেরা নির্যাতিত মেয়েটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গলায় ফাঁস লাগানোর কারণে মেয়েটির কণ্ঠনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সে এখন কথা বলতে পারছে না। কাগজে লিখে স্বজনদের কাছে ঘটনার সমস্ত বর্ণনা দিয়েছে। ছাত্রীর বাড়িতে গেলে তার চাচা জানান, গত শুক্রবার রাতে শৌচাগার থেকে বের হওয়ার পর ইয়াসিন নামে এক তরুণ তার ভাতিজিকে অপহরণ করে দুই কিলোমিটার দূরে চর আলগী গ্রামের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে ইয়াসিন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটি দৌড়ে চর আলগী গ্রামে এক সহপাঠীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী মোছা. শিল্পী আক্তার জানান, মেয়েটি যে স্থানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল সেখানে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। ওই চিরকুটে লেখা ছিল তার মৃত্যুর জন্য ইয়াসিন দায়ী। পুলিশ শনিবার রাতে ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ কবীর বলেন, মেয়েটি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেয়েটির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি এসে অভিযোগ করবেন।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর