× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুদ্ধবিমান ওভারহলিং ইউনিটকে স্বীকৃতি সনদপত্র দিলো চীন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২১৪ মেইনটেইনেন্স, রিপেয়ারিং ও ওভারহলিং ইউনিটের সফল কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ এই ইউনিটকে চীনের জিলিন এয়ারক্রাফট মেইনটেইনেন্স কোম্পানী কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ওভারহল ইউনিট হিসেবে সনদপত্র দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এর আগে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুদ্ধ বিমান ওভারহল এর কোন ফ্যাক্টরি ছিল না।

যার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর চীনের তৈরি বিমানগুলোকে ওভারহলিং এর জন্য সুদূর চীনে পাঠাতে হতো। এতে করে একদিকে যেমন অনেক সময়ের প্রয়োজন হতো। তেমনি প্রয়োজন হতো প্রচুর অর্থের। এখন দেশে ওভারহলিং এর মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ রোধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ফলে অপারেশনাল সক্ষমতার ক্ষেত্রেও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ২০১১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর স্থাপিত হয় বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে এই বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টারের অর্ন্তগত ২১৪ এমআরও ইউনিটও একইসঙ্গে কার্যক্রম শুরু করে। চীনের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জিলিন এয়ারক্রাফট মেইনটেইনেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সার্বিক সহযোগিতায় ওই ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয়।

বর্তমানে বিমান বাহিনীর প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানগণ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিমান ওভারহল করতে সক্ষম। বিমান বাহিনীর নিজস্ব টেকনিশিয়ান কর্তৃক সফলভাবে ওভারহল করে প্রথম বিমানটি হস্তান্তর করা হয় ২০১৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর। বর্তমানে আরো ৩টি বিমান, বিমান বাহিনীর নিজস্ব টেকনিশিয়ানের অধীনে ওভারহল কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার ভাষণে ২১৪ এমআরও ইউনিটকে সনদপত্র অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানান। সহযোগিতার জন্য তিনি চীন সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নপূরণে এই ২১৪ এমআরও ইউনিট ভবিষ্যতে বিমান প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ২১৪ এমআরওইউ ওভারহলিং ইউনিট হিসেবে সনদপত্র পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর অপারেশনাল কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সেনা ও নৌবাহিনী প্রধান,সাবেক বিমান বাহিনী প্রধানগণ,বিমান বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিগণ এবং অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর