× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিবি পরিচয়ে বাসচালককে পিটিয়ে হত্যা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ সদস্য পরিচয়ে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালককে নামিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে টানা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে চট্টগ্রামের পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে পরিবহন শ্রমিক নেতারা আল্টিমেটাম দিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ সভা শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ সদস্য পরিচয়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসের  চালক জালাল উদ্দিনকে (৫০) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারা জানান, গত সোমবার রাত ৮টায় যাত্রীবাহী বাসটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট পার হয়ে শিকলবাহা ভেল্লাপাড়া ব্রিজ এলাকায় আসে। এ সময় ডিবি পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আনুমানিক ৭ জন পুরুষ বাস থামান। এরপর তারা বাসে উঠে তল্লাশি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে তারা ড্রাইভারকে হাতকড়া পরিয়ে বাস থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেধড়কভাবে পেটানো হয়। পেটাতে পেটাতে আবারও জালালকে বাসের ভেতরে আনে তারা। এ সময় তারা বলেন, ইয়াবা কোথায় রেখেছিস বল, বের করে দে। ড্রাইভার উত্তর দেন, স্যার আমার কাছে কোনো ইয়াবা নেই। এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ডিবি সদস্যরা তাকে আবারও রাস্তার পাশে অন্ধকারের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়, রাস্তায় ফেলে লাথি মারা হয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর মুমূর্ষূ অবস্থায় তাকে বাসের ভেতরে ফেলে ডিবি সদস্যরা দ্রুত চলে যায়। এই ঘটনার পরে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিকল্প চালক এনে বাসটিকে নগরীর কর্নেলহাট কাউন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার আজিম উদ্দিন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আমরা ড্রাইভার জালালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর