× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাঁচ দফা দাবিতে সাড়ে ৪ ঘণ্টা নিউমার্কেট মোড় অবরোধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের

দেশ বিদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার

সেশনজট নিরসন, ত্রুটিমুক্ত ফল প্রকাশ, স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল ঢাকার নিউমার্কেট মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করে রাখে। শিক্ষার্থীদের অবরোধে আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর সোয়া ২টায় অবরোধ ছাড়ার আগে ঘোষণা দেয়া হয় আজ বেলা ১১টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে ফের নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্র আবু বকর বলেন, আজকের মধ্যে পাঁচ দফা দাবি পূরণের ঘোষণা না দেয়া হলে বুধবার বেলা ১১টা থেকে নিউমার্কেট সড়কে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিকে, একই দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হলেও তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম। তবে শিক্ষার্থীরা সেটি প্রত্যাখ্যান করে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সাক্ষাৎ চান।  এ সময় তারা ‘গণহারে আর ফেল নয়, যথাযথ রেজাল্ট চাই’, ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা নয়’, ‘গণহারে ফেল, ঢাবি তোমার খেল’, ‘বন্ধ করো অনাচার, সাত কলেজের আবদার’, ‘নিচ্ছো টাকা দিচ্ছ বাঁশ, সময় শেষে সর্বনাশ’ স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষাসহ সব বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ করা; ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স সব বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনর্মূল্যায়ন করা, সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন, প্রতিমাসে প্রত্যেকটা বিভাগে প্রতি কলেজে দুইদিন করে মোট ১৪ দিন ঢাবির শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া, সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেণ্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকাকালে তাদের পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। হঠাৎ করে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পর তারা ভেবেছিলেন সেশনজট কমবে।
একই সঙ্গে শিক্ষার মানও বাড়বে। এর কিছুই হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আরো বেশি সেশনজটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলও তারা ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে পারছে না। ত্রুটিযুক্ত ফলাফলও তারা প্রকাশ করছে। শিক্ষার্থীরা এসবের সমাধান চান। তারা আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এর আগেও তাদের অনেক আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এর কোনো বাস্তবায়ন তারা দেখেন নি। তার অফিসে গিয়েও অনেকবার স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে, এতে কোনো কাজ হয়নি। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের অধীনে পরিচালিত যেসব সেশন শুরু হয়েছে, এতে কোনো জট নেই। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালে যেসব সেশন আমাদের অধীনে দেয়া হয়েছে, লোকবল কম থাকায় তা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে অচিরেই তা কেটে যাবে। তিনি বলেন, ছাত্ররা না বুঝে আন্দোলন করলেই হবে না, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এদিকে, পাঁচ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থী। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা কলেজের গেটের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। অনশনকারীরা হলেন- বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আবু নোমান রুমি, ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সাকিব ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম। তারা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত পাঁচ দফা দাবি মানা না হবে, ততক্ষণ তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর