× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্লাস্টের হানায় কৃষকের স্বপ্নভঙ্গ

বাংলারজমিন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৫ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার

খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি কখনো কালবৈশাখী কেড়ে নেয় কৃষকের ফসল ভেঙে দেয় তাদের গোছানো আশা। আবার সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছে ব্লাস্ট ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগ। স্বপ্নভঙ্গ করেছে কৃষকের। এরপরও পরামর্শ কিংবা সহযোগিতার জন্য পাশে কিংবা মাঠে পাচ্ছেন না কৃষি বিভাগের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের। এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানক্ষেতে দেখা দিয়েছে নেক ব্লাস্ট ও পাতা মরা রোগসহ পোকার আক্রমণ। ফসল ঘরে তোলার পূর্ব মুহূর্তে এই রোগ দেখা দেয়ায় চাষিরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।
নেই মুখে হাসি, ঝড়ছে চোখের জল। মাঠের পর মাঠ ধানের শিষ সাদা হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে যেন কৃষকদের করুণ আর্তনাদ। ফসলের রোগ সমাধানের জন্য পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন কৃষি অফিসসহ বিভিন্ন ওষুধের দোকান গুলিতে। এরপরও প্রতিকার মিলছে না। কৃষি বিভাগ রোগটিকে নেক ব্লাস্ট বললেও কৃষকরা রোগটিকে ক্যানসার হিসাবে দাবি করছে। সরজমিনে মাছাবান্দা, সবুজপাড়া, মণ্ডলপাড়া, বিল, বেলেরভিটাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বোরো ধানে নেক ব্লাস্ট, পাতা মড়া রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। নেক ব্লাস্ট রোগে শতশত হেক্টর জমির বোরো ধানের শীষ শুকিয়ে গেছে। দূর থেকে দেখলে ওইসব ক্ষেতের ধান পাকা মনে হলেও কাছে গেলে বোঝা যায় সব ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৬ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ সামান্য কিছু জমিতে নেক ব্লাস্ট আক্রান্ত দাবি করলেও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নেক ব্লাস্ট রোগে শত শত হেক্টর ধানক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে এবং তা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ সময় সবুজপাড়া নালার পাড় এলাকার মেহেনা, এমদাদুলসহ বেশকিছু কৃষক অভিযোগ করে বলেন হঠাৎ এই রোগে আক্রান্ত জমির ধান সব নষ্ট হয়ে গেলেও কৃষি অফিসের লোকজনকেও পাশে পাই না। তারা কেউ দেখার জন্য তো দূরের কথা খবরও নিতে আসে না। রমনা, রানীগঞ্জ এলাকার কৃষকরা একই কথা বললেও অনেকে বলেন বিএস (উপসহকারী কৃষি অফিসার) এলেও তাদের ঘনিষ্ঠ লোকজনের সঙ্গে দেখা করে দু-চারটি জমি দেখে সরে পড়েন। মাছাবান্দা নালারপাড় এলাকার কৃষক মকবুলের স্ত্রী মহসিনা জানান  তার প্রায় ২৭ শতক জমির ধান ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হয়ে গেছে, তিনি আরো জানান শুধু তার নয় এই এলাকার মিন্টু, বক্কর, আবু তালেব, দুলা মেম্বারসহ অনেকের জমির ধান সব নষ্ট হয়ে গেছে। রোগের আক্রমণে চারদিকে যেন হতাশার বাতাস বইছে। দায়িত্বরতদের দায়িত্বের অবহেলার কথা অস্বীকার করে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. খালেদুর রহমান জানান, নেক ব্লাস্ট ধানের একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এটি কোনো বীজে থাকলে পরে তা জমিতে আসতে পারে। এ ছাড়া আকাশ মেঘলা এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। রোগ নির্মূলের জন্য আমাদের লোকজন মাঠে মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর