× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘আমি অপেক্ষা করতে রাজি’

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
২৫ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ছোট ও বড় পর্দায় সুঅভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। এরইমধ্যে অভিনেত্রী হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন তিনি। দীর্ঘ সময় ছোট পর্দায় কাজ করছেন। তবে এখন একেবারেই অল্প সংখ্যক কাজ এ মাধ্যমে করছেন তিনি। মনোযোগী হয়েছেন চলচ্চিত্রে। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের কাজের জন্য ছোট পর্দার কাজ থেকে দূরে ছিলেন তিনি। এর আগে বড় পর্দায় যে ক’টি ছবিতে জ্যোতি অভিনয় করেছেন প্রশংসিত হয়েছেন। আর যে ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে আরো বেশি মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন বলেও জানিয়েছেন জ্যোতি।
সব মিলিয়ে বড় পর্দায় নতুন করে নিজের ম্যাজিক দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতায় জ্যোতি অভিনীত ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। প্রতীপ্ত ভট্ট্যাচার্য পরিচালিত এ ছবিতে শ্রীকান্তের ভূমিকায় দেখা যাবে ঋত্বিক চক্রবর্তীকে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের এ ছবিটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী জ্যোতি। ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি ছবি। যেহেতু এটি একটি ঐতিহাসিক গল্পের ছবি আর এখানে আমি অভিনয় করেছি রাজলক্ষ্মী চরিত্রে। সেহেতু আমার জন্য চ্যালেঞ্জের ছিল। আমিও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। এর আগে অনেক বড় মাপের অভিনেত্রীরা রাজলক্ষ্মী চরিত্রে কাজ করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রটিকে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তোলার। সেক্ষেত্রে পরিচালকসহ শুটিং টিমের সবার সহায়তা ছিল উল্লেখ করার মতো। তাই এ ছবিটি নিয়ে আলাদা রকম উত্তেজনা কাজ করছে আমার ভেতর। মুক্তির পরই দর্শক সাড়াটা বুঝতে পারবো। তার জন্যই অপেক্ষা করছি। এদিকে মাস দুই আগে দেশে ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ করেছেন জ্যোতি। এ ছবিরও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাসুদ পথিক। গ্রামবাংলার সংগ্রামী নারীর চরিত্রে দেখা যাবে জ্যোতিকে। এ ছবিটি প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘মায়া-দ্য লস্ট মাদার’ ছবিটির গল্প আমাকে ঘিরেই। গ্রামবাংলার একজন নারীর সংগ্রামের গল্প এখানে তুলে ধরা হয়েছে। গল্প, চরিত্র এবং নির্মাণ- সব কিছুতেই দর্শক আলাদা কিছু পাবেন এখানে। আমি যে ক’দিন ছবিটি করেছি সে ক’দিন যেন মায়া হয়েই ছিলাম। বলতে পারেন এটি আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি চরিত্র ছিল। আমি নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টাও করেছি সেভাবে। এ দুটি ছবির বাইরে বর্তমানে আরো দুটি ছবির কাজ করছেন জ্যোতি। তবে ছবি দুটির বিষয়ে আপাতত বলতে চাইছেন না তিনি। কাজ শেষ হলেই বলবেন। জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, দুটি ছবির কাজ করছি নতুন। তবে এ বিষয়ে বলতে বারণ আছে। তাই বিষয়টি এখনই বলতে পারছি না। সব কিছু আনুষ্ঠানিকভাবেই ঘোষণা দেয়া হবে। তবে একটি কথাই বলতে চাই, খুব ভালো কিছু হতে চলেছে। চলচ্চিত্র নিয়ে সামনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, আমার পরিকল্পনাটা খুব সহজ ও সরল। সেটা হচ্ছে ভালো কাজ করে যাওয়া। আর তার জন্যই কিন্তু আমি ছোট পর্দা থেকে দূরে ছিলাম। এখনো আমি খুব কম কাজ করছি। চেষ্টা করছি এমন কিছু করতে যেটা গতানুগতিক না হয়। ভিন্নধর্মী চরিত্র ও গল্পের কাজ করতে চাই। সেদিক থেকে অপেক্ষা করতে আমি রাজি। এখনতো একটি ধারাবাহিকেও কাজ করা হচ্ছে? জ্যোতি বলেন, ছোট পর্দায় কাজ আমি হাতেগোনা করছি এখন। তার মধ্যে রয়েছে এ ধারাবাহিকটি। নাম ‘গ্রামের নাম সূবর্ণপুর’। এটি চ্যানেল আইতে প্রচার চলছে। নাটকটির গল্প ও তাতে আমার চরিত্রটি ভালো লেগেছে বলেই কাজটি করছি। এরইমধ্যে ভালো দর্শক সাড়াও মিলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর