বর্ষীয়ান অভিনেতা সালেহ আহমেদ আর নেই। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। তার মামাতো ভাই অভিনেতা আহসানুল হক মিনু সালেহ আহমেদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন সালেহ আহমেদ। সপ্তাহ খানেক আগে গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্রমেই এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে গতকাল দুপুরে চলে গেলেন তিনি। গতকাল বাদ মাগরিব উত্তরখান জামে মসজিদে সালেহ আহমেদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সেখানকার সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয় এই গুণী অভিনেতাকে। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে সালেহ আহমেদ গত দুইবছর বিছানায় শুয়ে কাটিয়েছেন। ২০১১ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছিলো তার পরিবার। গেল জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সালেহ আহমেদের চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকা দেন সঞ্চয়ীপত্র হিসেবে। সালেহ আহমেদের জন্ম বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরির পাশাপাশি ময়মনসিংহে অমরাবতী নাট্যমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই অভিনেতা। স্বাধীনতার আগে বিটিভিতে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতেন। ১৯৯১ সালে অবসরে যাওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের নাটকে ও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ধারাবাহিক নাটক ‘অয়োময়’ এবং ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে তার দাপুটে পদচারণা শুরু হয়। এরপর অসংখ্য টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক।॥