নোয়াখালীর সেনবাগে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক যুবতী (১৫)কে একাধিক বার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেনবাগ থানা পুলিশ শবেবরাতের দিন গভীর রাতে উত্তর মানিকপুর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষক রাজু (২৭)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষক রাজু কেশারপাড় ইউপির উনদানিয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের পুত্র। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় দুইজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নং-১৯ দায়ের করেছে।
সেনবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল আলী পাটোয়ারীর নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার রাতে বীরকোট গ্রামের এমাম হোসেনের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম হৃদয় (২৩) নামে আরো এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই ধর্ষককে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে নোয়াখালীতে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভিকটিম জানান, কয়েক মাস আগে কানকিরহাট বাজারের ফল দোকানদার রাজুর কাছ থেকে ফল কিনতে গিয়ে পরিচয় হয়। ওইদিন থেকে সে আমাকে বিয়ে করবে মর্মে সম্পর্ক বজায় রাখে।
একমাস আগে রাজু আমাকে বাজারে ডেকে আনে। একপর্যায়ে সে আমাকে কানকিরহাট কমিউনিটি সেন্টারে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়রা সালিশ বৈঠক করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ধর্ষকদের ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করলেও তা কার্যকর হয়নি।
গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় ধর্ষক রাজু ভিকটিমের মানিকপুরের বসতঘরের দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ে। এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে রাজুকে আটক করে থানায় খবর দিলে সেনবাগ থানার এএসআই নাসির ভিকটিম ও ধর্ষক রাজুকে সেনবাগ থানায় নিয়ে আসেন। ধর্ষক রাজুর আরো একটি সংসার রয়েছে। বিষয়টি বিভিন্নভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।