খুলনা মহানগরীর নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকায় একটি বাড়িতে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে এক যুবককে আটকে রেখে চাঁদাবাজির অভিযোগে সদর থানার এএসআই সিফাত, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এএসআই মিরান ও ফাতেমা (৪২) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক মামলা করেছেন।
কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, নগরীর নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার ৪নং রোডের একটি বাসায় মো. মনির হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪২) ভাড়া থাকেন। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাড়িতে ভুক্তভোগী যুবক সঞ্জিত শীলকে এক যুবতী নারীকে দিয়ে ফাঁসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে এএসআই সিফাত ও এএসআই মিরান। পরে ২৭ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে মুক্তি পান ওই যুবক। এ ঘটনার বিষয়ে তিনি খুলনা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ রাতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার তথ্য মতে এএসআই সিফাত ও এএসআই মিরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালের ১৪ই আগস্ট নিরালা আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৯৫ নম্বর বাড়িতে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দাকোপের তিলডাঙ্গা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মো. রমজান আলী বাদী হয়ে ১৫ই আগস্ট এসআই সোহেল রানাসহ ৯ জনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন (যার নং ১৬)।
এছাড়া একই অভিযোগে নগরীর আপার যশোর রোডের এশিয়া স্টিল নামে স্টিল ফার্নিচারের মালিক রফিকুল ইসলাম ১৬ই আগস্ট এসআই সোহেল রানাসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন (যার নং ১৭)।।