× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সকল শিশুর টিকা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগী হতে বললেন মেয়র নাছির

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৫ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় সকল শিশুর পূর্ণ টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ-২০১৯। বুধবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে এক শিশুকে এম.আর টিকার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিশ্ব টিকা দান সপ্তাহ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কার্যকর টিকা- সকলে সুরক্ষা’। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের মূল উদ্দেশ্য হলো বাদ পড়া সকল শিশুকে কার্যকরী টিকা দিয়ে সুরক্ষিত করা। এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাক্তার নাসিমা সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত এই বিশ্ব টিকাদান  কর্মসূচি পালিত হবে। উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সিটি মেয়র একটি শিশুও  যেন এম.আর টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে অভিভাবকদের সজাগ থাকার আহ্‌বান জানান।  তিনি বলেন আমরা চাই প্রতিটি শিশু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোক। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
নিজের এবং আশপাশের সব শিশু যেন টিকা নেয় এজন্য অভিভাবকসহ ইপিআই কর্মীদের উদ্যোগী হতে বললেন মেয়র। মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে ১৭ লাখ বস্তিবাসী আছে। তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে  হবে। তবে সবাই আন্তরিক হলে কেউ বাদ যাবে না। আর হতদরিদ্র শিশুরা যাতে কোনোভাবে এ কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিশেষ উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান মেয়র। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই চট্টগ্রাম নগরীতে  টিকাদান কর্মসূচি  শতভাগ সাফল্য অর্জিত হবে এমন প্রত্যাশা আশা করে মেয়র বলেন স্বাস্থ্য খাতে এই সরকারের অনেক সফল্য রয়েছে। চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের  আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএম এ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুল হক খান, লায়ন ডাইরেক্টর ডাক্তার মোহাম্মদ শামসুল হক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বারডান রানা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি মাধুরী ব্যানার্জি, সিভিল সার্জন আজিজুল রহমান সিদ্দিকী ও চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী  বক্তব্য রাখেন। ইপিআই অ্যান্ড সার্ভিলেন্স  প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাক্তার মওলা বক্স চৌধরী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন  সহকারী পরিচালক পোর্ট ক্লিয়ারেন্স চট্টগ্রামের ডাক্তার মোহাম্মদ  হুমায়ুন কবির ও সিনিয়র সেক্টর  স্পেশালিষ্ট আরটি আর এল চট্টগ্রাম মিসেস প্রিয়াংকা দে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার সিভিল সার্জনগণ, পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক, চসিক ডাক্তার, চসিক সকল জোনাল মেডিকেল অফিসার, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০০টি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ, শিক্ষক প্রতিনিধিগণ, লায়ন্স ক্লাব, রোটারী ইন্টারন্যাশনাল, স্কাউট, গালর্স গাইড প্রতিনিধিগণ, আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় এনজিও প্রতিনিধিগণ, সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর