× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রংপুরে স্ত্রী হত্যার ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৫ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার

রংপুরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী হত্যার ঘটনায় স্বামী নাদের হোসেন নেন্দুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার ফুলবাড়ি এলাকার একটি মুরগির খামার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে গোলাপী বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। র‌্যাব-১৩ মিডিয়া কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম মোর্তুজা জানান, পরকীয়ার জেরে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির কাগজে স্বাক্ষর না দেয়ায় গত ২১শে এপ্রিল রোববার স্বামী নেন্দু স্ত্রী গোলাপী বেগম (২৮)কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গা-ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই হারাগাছ থানায় গোলাপী বেগমের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম নেন্দুকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করলে মহানগর পুলিশের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। পলাতক আসামিকে নেন্দুকে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের বিশেষ আভিযানিক দল মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার ফুলবাড়ি নামক স্থানের একটি মুরগি খামার হতে প্রধান আসামি মো. নাদের হোসেন নেন্দুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নেন্দুকে হারাগাছ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় র‌্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা।

উল্লেখ, হারাগাছের চরচতুরা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে নাদের আলী ওরফে নেন্দুর (৪১) সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয় মৃত গোলা মামুদের মেয়ে গোলাপী বেগমের (২৮)। সম্প্রতি নাদের আলী দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য অনুমতি চেয়ে গোলাপী বেগমের কাছে স্বাক্ষর চাইলে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। ঘটনার দিন ২১শে এপ্রিল রোববার বিকালে নাদের আলী গোলাপীর কাছে স্বাক্ষর চাইতে গেলে সে অসম্মতি জানায়। এতে স্বামী নাদের আলী ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাপীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোলাপীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রোববার রাতে গোলাপী বেগমের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম হারাগাছ থানায় বাদী হয়ে নেন্দু ও তার প্রেমিকা রিক্তার নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে নেন্দুর প্রেমিকা রিক্তা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর থেকেই নেন্দু পলাতক ছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর