× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনুমোদন ছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী মামলার অভিযোগপত্র /আইও- পিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২৪, ২০১৯, বুধবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া বগুড়ার এক মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করায় বগুড়া সদর থানার মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করায় মামলা সংশ্লিষ্ট পিপির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা ওই মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে উল্লেখ করে মামলার এক আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে রুবেলের করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ থেকে এ আদেশ আসে।

আদালত ওই আসামিকে জামিন দিয়ে আদেশে বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে এবং পিপির বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইন মন্ত্রণালয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। আসামি রফিকুল ইসলাম রুবেলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তারিকুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৪০ (২) ধারা অনুযায়ী মামলা, তদন্ত ও অভিযোগপত্র দাখিলের আগে স্বরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিচারকও এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন যে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। না হলে প্রক্রিয়াটি অবৈধ হবে।
আজ ওই আসামির জামিন শুনানিকালে আদালত দেখতে পান  যে এ মামলার ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। যে কারণে মামলার আইও ও পিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আর সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে থাকা এই মামলার বিচারক বর্তমানে অবসরে যাওয়ায় তার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দেননি আদালত।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধেসন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে র‌্যাব। ২৪ আগস্ট রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর রফিকুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে ২০১৫ সালে মামলাটি বগুড়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ বদলি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন বিচারিক আদালতে রফিকুলের জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর হয়। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন পাঁচ বছর ধরে কারাগারে থাকা রফিকুল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুনানি শেষে রফিকুলকে জামিন দিয়ে এ আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর