× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেরত পাঠাতে চিঠি / ইউক্রেনে ডিটেনশন সেন্টারে ২০৮ বাংলাদেশি

শেষের পাতা

বিশেষ প্রতিনিধি
২৫ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ইউক্রেনের ডিটেনশন সেন্টারে আটক আছেন ২০৮ জন বাংলাদেশি। তাদেরকে ফেরত পাঠাতে দফায় দফায় পোল্যান্ডের ওয়ারশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে চিঠি দিচ্ছে ইউক্রেন সরকার। এর ভিত্তিতে পোল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি সর্ম্পকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে চাইলে পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করে ২০৮ জন ব্যক্তি সর্ম্পকে তথ্য আমাদেরকে দিয়েছে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় অভিবাসন সেবা সংস্থা। আমরা ইউক্রেন সরকারের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করছি। সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছি। তাদের নাগরিকত্ব সর্ম্পকে নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিষয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এর আগে কিছুই করতে পারছি না।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ওয়ারশস্থ ইউক্রেনের দূতাবাস থেকে একটি চিঠি পায় বাংলাদেশ দূতাবাস। ওই চিঠিতে অবৈধভাবে ইউক্রেনে বাংলাদেশিরা বসবাস করছে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি আটক করা বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, রাশিয়াতে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের সময় ম্যাচ টিকেট কিনে ফ্যান আইডি ব্যবহার করে গণহারে বাংলাদেশিরা দেশটিতে গিয়েছে। এরপর বাংলাদেশিরা দালালদের সহায়তায় ইউক্রেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঢুকেছে। তাই ইউক্রেনে আটক বাংলাদেশিরা সম্ভবত মানবপাচারকারিদের সহায়তায় ইউরোপে এসেছেন।

এদিকে ২০১৮ সালের আগস্টে ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকার বিষয়টি জানার পর একই বছরের ২৬শে ডিসেম্বর ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় অভিবাসন সেবা (ডিএমএস) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে একটি চিঠি দিয়েছে। ডিএমএসের প্রধান এম সেকোলিউক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ইউক্রেনে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করা ব্যক্তিদের দেশে ফেরত নেয়ার অনুরোধ জানায়। অনুরোধের ওই চিঠিতে ডিএমএস জানায়, ১৬৯ জন বাংলাদেশি ইউক্রেনে অবৈধভাবে আটকের অবস্থানের দায়ে আটক রয়েছে। সর্বশেষ ওয়ারশস্থ ইউক্রেনের দূতাবাস, ২০৮ জন বাংলাদেশি ব্যক্তিদের তথ্য পাওয়ার কথা জানায়। ওই সব তথ্য বাংলাদেশ দূতাবাস এরই মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশি দাবিদার ২০৮ জনের তথ্য সম্বলিত তালিকার পুরোটা এখনও তারা পাননি। তবে খন্ড খন্ড চারটি তালিকা তারা পেয়েছেন।

এসব তালিকায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা বাংলাদেশি কিনা তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য পুলিশের বিশেষ শাখার কাছে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওয়ারশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ২০১৮ সালের ২৫শে অক্টোবর ও ১৩ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সালের ৯ই জানুয়ারি, ১৭ই জানুয়ারি ও ১৮ই এপ্রিল এ পাঁচটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। এসব তালিকা যাচাই বাছাই করে সঠিক পেলে ট্টাভেল পাস ইস্যু করবে বাংলাদেশ দূতাবাস। তাই নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে তারা। এদিকে সম্প্রতি ওয়ারশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে একটি চিঠি দিয়েছে ইউক্রেন দূতাবাস। ওই চিঠিতে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের বিষয়টি দ্রুত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যাচাইকৃত ব্যক্তিদের জন্য ট্টাভেল পাস ইস্যু করে তা ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ওয়ারশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যাচাই বাছাই দ্রুত করার বিষয়টি ঢাকার উপর নির্ভর করছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর