× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা /নুসরাত হত্যাকাণ্ড সহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সাধারণ আলোচনা দাবি

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২৫, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি

ফেনীতে পুড়িয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যাকান্ড ও শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা হামলাসহ সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে জাতীয় সংসদে একটি সাধারণ আলোচনার দাবী জানিয়েছেন সরকার ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাঁরা বলেন, সম্প্রতি ধর্মের নামে প্রতিহিংসার আগুণে সারা দুনিয়া জ্বলছে। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জঙ্গী-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাংলাদেশ এখনও নিরাপরাধ নয়। দেশের বিভিন্নস্থানে কিছু সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্রও দেখা যাচ্ছে। এসব নিয়ে সংসদে সাধারণ আলোচনা হওয়া উচিত।

বুধবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এ দাবী জানান। পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। তাঁর বক্তব্যে সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন  আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল, জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং গণফোরামের মোকাব্বির খান।


প্রস্তাব উত্থাপন করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গত দুই মাসে দেশে-বিদেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। হিংসা-প্রতিহিংসায় রক্তাক্ত হয়েছে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা। একজন মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত প্রতিহিংসার আগুণে ছাড়খার হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মমতাময়ী হাত নুসরাতকে রক্ষা করতে পারেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সব কিছুকে হারিয়েছেন। জায়ান চৌধুরীর ছবি দেখলে মানুষের মন কেঁদে ওঠে। সবাই কেঁদেছে। নিষ্পাপ এই শিশুটি বিদেশে নিহত হলো জঙ্গী হামলার মধ্য দিয়ে। জায়ানের ছবি দেখে মনে হয়ে ১৫ আগস্টের নিষ্পাপ রাসেলের কথা। এবিষয়গুলো নিয়ে প্রতিহিংসার আগুণে সারা দুনিয়া জ্বলছে। ধর্মের নামে হত্যা করছে। এ ব্যাপারে সংসদে সাধারণ আলোচনা হওয়া উচিত।

সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, শিশু জায়ানের মৃত্যু গোটা দেশের মানুষকে ব্যাথিত করেছে। অনেকেই চোখের পানি রাখতে পারেননি। শোক প্রকাশ করার ভাষা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, নুসরাত হত্যাকান্ড সমগ্র বাঙালি জাতির হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। একজন ছাড়া সব অপরাধী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নুসরাত হত্যাকান্ডের পরেও অনেকস্থানে শিশুদের নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। এটা হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সামাজিক অবক্ষয় চলতে পারে না। দ্রুত এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিকাষ্টে ঝুলাতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি আইনমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, নুসরাতের ঘটনা সাধারণভাবে দেখলে চলবে না। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন বন্ধে কমিটি গঠন করতে হবে। হলি আর্টিজানে জঙ্গীবাদের তান্ডব আমরা দেখেছি। ওই ঘটনায় পর্যটন শিল্প প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল। এখন শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডে এসব ঘটনা ঘটেছে। তবে আত্মতুষ্টির কোন অবকাশ নেই। ইউটিউবে নানাভাবে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসে উস্কানী দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারেও নজর দিতে হবে।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ফ্লোর নিয়ে বলেন, বাংলাদেশ অনেকটা নিরাপরাধ অনেকেই বলার চেষ্টা করেন। জঙ্গী-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাংলাদেশ এখনও নিরাপরাধ নয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অগ্রযাত্রা থামাতে জঙ্গী-সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলো এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মের মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ীরা ক্রমাগত নারী-সংখ্যালঘু ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। তেঁতুল তত্ত্ব ও জঙ্গী-রাজাকার তত্বের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়তে হবে।

জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, সংসদে সত্যিকার ইস্যুগুলো আলোচনা না হয়, তবে অন্য কিছু করে লাভ হবে না। দেশের সবচেয়ে কলঙ্কের ঘটনা হচ্ছে ঋণখেলাপী। ঋণখেলাপীরা হচ্ছে জাতীয় পকেটমার। এসব ইস্যুতেও সংসদে আলোচনা হতে হবে।

জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এ প্রসঙ্গে বলেন, জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকার সফল হলেও আমরা শঙ্কিত শ্রীলঙ্কার ঘটনার পর। সম্প্রতি সামাজিক অবক্ষয়ের নানা চিত্র দেখা যাচ্ছে। এসবের সঙ্গে মাদক জড়িত। ছোট ছোট শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। নৈতিকতা ও সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে সংসদে একদিন আলোচনার সুযোগ দিতে হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, নুসরাতসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যেসব সামাজিক অবক্ষয়ের ঘটনা দেখা যাচ্ছে, তা সত্যিই উদ্বেগের ব্যাপারে। নুসরাত হত্যাকান্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হচ্ছে জড়িতদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর